না জানিয়া যজ্ঞ অশ্ব ধরিলাম আমি । কি করি উপায় এবে কহ গো জননী ॥ চিত্রাঙ্গদ বলে শুন স্ববুদ্ধি কুমার । যত্নেতে পালন কর বচন আমার ॥ অশ্ব ল’য়ে যাহ তুমি জনকের স্থানে । অপরাধ মাগি লহ ৰ্তাহার চরণে ॥ নানারঞ্জ অগ্রে ঘুয়ে করিবেক নতি । পশ্চাতে কহিবে পুত্র আপন ভারতী ॥ চিত্রাঙ্গদ গর্ভে জন্ম কহিবে তাছারে । তনয় বলিয়া তেঁই তুষিবেন তোরে । বক্রবাহ বলে মাতা করি নিবেদন । শুনিলাম যত আমি তোমার বচন ॥ এ রীতি ক্ষত্রের নহে শুনগো জননী । যুদ্ধ করি পরিচয় তারে দিব আমি ॥ পদানত হৈলে ঘৃণা করিবে আমারে । শুনগো জননী অগ্রে না জানাব র্তারে ॥ চিত্রাঙ্গদ বলে পুত্র না হয় যুকতি । কেমনে যুঝিবা তুমি পিতার সংহতি ॥ নাহি শুন লোকমুখে ইতিহাস কথা । পুজা কৈলে পিতৃলোকে প্রসন্ন দেবতা ৷ তারে পুত্র বলি যে পিতার সেবা করে । সেই পুত্র বলি যে পিতার বাক্য ধরে । তুমি যাহ পিতা সঙ্গে করিবারে রণ। কিমতে এ সব লাজে ধরিবে জীবন ॥ অশ্ব ল’য়ে যাহ তুমি পাণ্ডব গোচরে । লোকধৰ্ম্ম কথা আমি কহিনু তোমারে ॥ আপন স্বধৰ্ম্ম রক্ষা করে যেইজন ৷ সৰ্ব্বত্র কল্যাণ তার বলে মুনিগণ ॥ জননীর বাক্যে বক্রবাহ নরপতি । নানা রত্ন নিল সঙ্গে সুশোভন অতি ॥ অগুরু চন্দন গন্ধ লইল কস্তুরী । পুষ্পমালা স্বর্ণখালে নিল যত্ন করি । অশ্ব নিয়া চলিলেক পার্থের নন্দন । অর্জনে ভেটিতে যান আনন্দিত মন ৷ দূত গিয়া কছিলেন পার্থের গোচরে । বক্রবাহ আইলেন তোম। ভেটিবারে । , | .
- , יארי------
পদাতিক সঙ্গে আসে পাত্র মিত্ৰগণ । অভিপ্রায় বুঝি তব লইবে শরণ ॥ তাহা শুনি সম্মতি দিলেন ধনঞ্জয় । দিব্যাসনে বসিলেন সানন্দ হৃদয় ॥ কামদেব বৃষকেতু যুবনাশ্ব রায়। ংসধবজ নীলধ্বজ বসিল সভায় ॥ অনুশাল্ব-বৃকোদর স্থবেগ সহিত । অৰ্জ্জুন সমাজ কৈল পেয়ে মহাপ্রীত ॥ পুষ্পক চন্দন অৰ্জ্জুনের পদে দিয়া । প্রণাম করিল রাজা ভূমিষ্ঠ হইয়া ॥ পঞ্চরত্ন সম্মুখে রাখিয়া নরপতি । অৰ্জ্জুন-চরণে রাজা করিল প্ৰণতি ॥ সম্মুখে রাখিয়া অশ্ব কহে নরপতি । অবধান করি শুন পাণ্ডুর সন্ততি ॥ অর্জন চরণ প্রান্তে বসিয়া রাজন । আপনার কথা যত করে নিবেদন ॥ তোমার তনয় আমি শুন মহাশয় । চিত্রাঙ্গদা গৰ্ভেতে আমার জন্ম হয় ॥ যখন করিলা তুমি তীর্থ পৰ্য্যটন । করিলা গন্ধৰ্ব্বস্তুত বিবাহ তখন ॥ তোমার ঔরসে চিত্রাঙ্গদার উদরে । হইল আমার জন্ম কহিনু তোমারে ॥ না জানি ধরিনু ঘোড়া ক্ষমা দেহ মোরে। বক্রবাহ বলি নাম জানহ আমারে ॥ এত বলি পুনরপি ধরিল চরণে । শুনিয়া জন্মিল ক্রোধ অর্জুনের মনে ॥ কাহারে বলিস পিতা নটির তনয় । অভিপ্রায় বুঝি তোর নাহি লণ্ডজ ভয় ॥ নটি চিত্রাঙ্গদ সেই গন্ধৰ্ব্ব দুহিতা ॥ তুই যার পুত্র তার শুনিয়াছি কথা ॥ এত বলি করিলেন চরণ প্রহর । ভুমেতে পাণ্ডুল চিত্রাঙ্গদার কুমার ॥ না করিহ তিরস্কার পাণ্ডুর তনয় । আমিত তোমার পুত্ৰ কহিনু নিশ্চয় ॥ তবে হংসধবজ আর নীলধ্বজ রায় । অৰ্জুনে কছিল যুক্তি না হয় তোমায়ু ॥ .