অশ্বমেধপর্কব। ] পবিত্ররূপাং পরমাং দেবসেনাং পরাং ভজে ॥ ৮৪১ - বিচ্ছিন্ন মস্তক দোহে আছয়ে পড়িয়া । ভয় পান চন্দ্রহংস দোহারে দেখিয়া ॥ যোড়হাতে চণ্ডীকারে করেন স্তবন । বিষ্ণুরূপ স্বর্ণময়ী শুন নিবেদন ॥ বিষ্ণুজায় বৈষ্ণবী যে ব্রাহ্মণী কমল । হরপ্রিয়া হৈমবতী হও অনুকূল । তোমার মহিমা মাতা কেহ নাহি জানে । নিদ্রারূপা হও তুমি বিষ্ণুর নয়নে ॥ এত বলি চন্দ্রহংস নানা স্তুতি কৈল । তথাপিও অভয়ার কৃপা না হইল । ভক্ত চন্দ্রাহংস তবে বিচারিয়া মনে । আপন কাটিতে খড়গ লইল তখনে ॥ বৈষ্ণব বিনাশ দেখি নগেন্দ্র-নন্দিনী । অসি চন্দ্রহংস হস্ত ধরিল তখনি ॥ চন্দ্রহংস বলিলেন চরণে ধরিয়া ! পিত পুত্রে দুইজনে দেহ বাচাইয়া ॥ চন্দ্রহংস বাক্যে দেবী দোছে বীচাইল । মদন সহিত মন্ত্রী উঠিয়া বসিল ॥ চন্দ্রহংস সৌভাগ্য যে দেখিয়া নয়নে । মন্ত্রাবর তুষিলেন আনন্দিত মনে ॥ পুষ্টবুদ্ধি বলে মম রাজ্যে নাহি কায । আজি হৈতে চন্দ্রহংস হৈল মহারাজ ॥ মন্ত্রী বলে যাই আমি যোগ সাধিবারে । হিংসিয়া বৈষ্ণবগণে কি কাজ শরীরে ॥ এত বলি বিবেকী হইল ধৃষ্টবুদ্ধি । মন্ত্রী গেল কাননে করিতে যোগ সিদ্ধি ॥ তথ। চন্দ্রহংস তবে কহিল মদনে । রাজত্ব করহ তুমি বসি সিংহাসনে ॥ মদন বলিল রাজ্যে নাহি প্রয়োজন । শুন চন্দ্রহংস তুমি লহ সিংহাসন ॥ মন্ত্রী হয়ে থাকি আমি তোমার গোচরে । রাজ্য ধন হস্তী ঘোড়া দিলাম তোমারে ॥ মদন হইল মন্ত্রী চন্দ্রহংস রাজা । তাহা দেখি আনন্দিত যত সব প্রজা ॥ কলিঙ্গে আনিল চন্দ্রহংস নরপতি । নানা স্থখ ভোগে তার জম্মিল পরিতি ॥ বিষয়ার গর্ভে হল উভয় নন্দন । মকরাক্ষ পদ্মাক্ষ যে দোহে বিচক্ষণ ॥ পুনশ্চ কলিঙ্গ গেল অপেন নগরে । চন্দ্রহংস রাজ্য ধন সব দিল তারে । এই কহিলাম চন্দ্রহংসের কথন । হেনকালে তথায় নারদ আগমন ॥ মুনি দেখি সন্ত্রমে উঠিল সৰ্ব্বজনে । আশীৰ্ব্বাদ করিলেন হরষিত মনে ॥ অৰ্জ্জুন পাইয় বার্তা মুনির গোচর কৃষ্ণ দরশন করি যান মুনিবর ॥ অর্জন শুনিয়া কথা নারদের মুখে । প্রবেশ করেন পুরে পরম কৌতুকে । আনন্দিত চন্দ্রহংস পাণ্ডব গমনে । কৃষ্ণ দরশন পান অর্জন মিলনে ॥ চন্দ্রহংস বলে শুন পুত্র দুইজন ৷ রাখহু যজ্ঞের ঘোড়া করিয়া যতন । অশ্ব ল’য়ে এল ভূপ হরমিত মতি । রাখিলেন দুই অশ্ব যথা জগৎপতি । প্ৰণমিল চন্দ্র হংস লোটাইয়া ক্ষিতি । পুলকে আকুল তনু অধিক ভকতি । অভয় চরণে শত দণ্ডবং হৈয়া । যোড়হাতে চন্দ্রহংস রহে দণ্ডি'ইয় : চন্দ্রহংসে আশ্বাস করিল/ মারায়ণ । অৰ্জ্জন তোষেন তারে দিয়া আলিঙ্গন । সবান্ধবে কৈল রাজা কৃষ্ণ দরশন। নিজালয়ে ল’য়ে গেল করিয়া যতন । নানা আয়োজন সব সমপণ কৈল । কোণ্ডিন্যকপুরে তুই দিবস বঞ্চিল । কহিলাম তোমা চন্দ্রহংসের ভারী । যেই জন শুনে ইহা কৃষ্ণে হয় মতি ॥ বিজয় পাণ্ডব কথা অমৃত লহরী । । কাশীরাম দাস কহে শুনি ভবে তরি ॥ মণিভদ্র রাজার দেশে পাণ্ডবদের আগমন । বলেম বৈশম্পায়ন শুন জন্মেজয় । উত্তর মুখেতে গেল পাণ্ডবের হয় ॥
পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৮৫৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।