পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৮৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ե-8Հ শূলিনীর ধ্যান—অধ্যারূঢ়াং মৃগেন্দ্রং সজলজলধরশু্যামলং— [ মহাভারত। ' দুই গোটা অশ্ব গেল উত্তর সাগরে । প্রবেশিল দুই অশ্ব সলিল ভিতরে ॥ তাহা দেখি ভয় পায় যত সৈন্যগণ । অর্জন বলেন কি হইবে নারায়ণ । সলিলেতে দুই অশ্ব করিল প্রবেশ । কেমনে পাইব অশ্ব বল হৃষীকেশ ॥ গোবিন্দ বলেন তুমি চিন্তা কর কেনে । আপনি যাইব জলে অশ্ব অন্বেষণে ॥ এত বলি অর্জনে লইয়। জগৎপতি । বক্রবাহ রাজা গেল দোহার সংহতি ॥ ভীম আদি সৈন্য সব রহিলেন কূলে । বক্রবাহ কৃষ্ণাৰ্জ্জুন প্রবেশিল জলে ॥ বাগদালভ্য মুনি নিকটে গেল চলি । জানেন সকল তত্ত্ব দেব বনমালী ৷ দ্বীপেতে আছেন মুনি বটপত্রে শিরে । উপনীত তিনজন তাহার গোচরে ॥ প্ৰণমিয়া মুনিরে বলিল তিনজন । নারায়ণ দেখি মুনি আনন্দিত মন । ঈষৎ হাসিয়া তবে জিজ্ঞাসেন হরি । দ্বীপ মধ্যে আছে বটপত্রে শিরে ধরি । আশ্রম না কর তুমি কিসের কারণে । কতদিন মুনিবর আছ এইখানে ॥ বাগদালভ্য মুনি তবে বলয়ে বাসিয়া । কি কারণে দুঃখ পাব আশ্রম করিয়া ॥ অল্পকাল পরমায়ু দিল নারায়ণ । আজি কালি মরি, গৃহে কোন প্রয়োজন ॥ মুনির বচনে জিজ্ঞাসেন ধনঞ্জয় । কতদিন এখানে আছেন মহাশয় ॥ মুনি বলে এক কল্প আমার জীবন । শত মম্বন্তর বটপত্রে আচ্ছাদন ॥ পার্থ বলে মনন্তর কত দিনে হয় । يخصصص-- এত অল্পদিনে কিবা কাৰ্য্য আশ্রমেতে । অতএব আছি আমি বটপত্র মাথে ॥ কোথা যাও তিনজন বলহ আমারে । কি কারণে আসিয়াছ আমার গোচরে ॥ অৰ্জ্জুন বলেন যজ্ঞ করে যুধিষ্ঠির । অশ্ব রাখি আমি যে সঙ্গেতে যদুবীর ॥ ন জানি যজ্ঞের ঘোড়া গেল কোনস্থানে । অশ্ব তত্ত্বে আইলাম তোমা বিদ্যমানে ॥ অর্জুনের বচন শুনিয়া মুনিবর। ঈষৎ হাসিয়া তারে দিলেন উত্তর ॥ মিথ্য অশ্বমেধ কর ভক্তি নাহি মনে । অনুক্ষণ কৃষ্ণচন্দ্র দেখিছ নয়নে ॥ তথাপি করহ যজ্ঞ কি বলিব আর । সত্য বলি অর্জুন জানহ চক্ৰধর ॥ কে বুঝিবে কৃষ্ণলীলা পাণ্ডবনন্দন । শিব ব্ৰহ্মা নারিল করিতে নিরূপণ ॥ এত বলি মুনিবর যোড়হস্ত হৈয়া । কৃষ্ণেরে করিল স্তুতি বিনয় করিয়৷ ৷ তোমার মায়ায় স্থির নহে স্বরগণ । কিসের গণনা করি পাণ্ডুর নন্দন ॥ পূৰ্ব্ব তপফলে দেখিলাম তব পদ । হইল পবিত্র আজি আমার আস্পদ ॥ এত বলি তুষিলেন দেব নারায়ণে । সে দ্বীপ ভ্ৰমিয়া অশ্ব এল সেইখানে ॥ সলিল ত্যজিয়া অশ্ব কুলেতে উঠিল । তাহা দেখি অর্জনের আনন্দ হইল ॥ মুনি প্ৰণমিয়া চলিলেন তিন জন । . অশ্বের গমনে স্বর্থী যত রাজগণ ॥ বলেন বৈশম্পায়ন শুন জন্মেজয় ॥ সিন্ধুপুরে গেল তবে পাণ্ডবের হয় ॥ তার অধিকারী মণিভদ্র নরপতি । দুঃশলার পুত্র জয়দ্রথের সন্ততি ॥ কুরুক্ষেত্রে পার্থ-হস্তে জয়দ্ৰথ মৈল । তার পুত্র মুণিভদ্র রাজ্যে রাজ্য হৈল ॥ দূতমুখে শুনি পুরে আইল অর্জন । সসৈন্য সাজিয়া এল করিবারে রণ ॥ এক কল্প কারে বলে কহ মহাশয় ॥ বাগদালভ্য বলে শুন ইন্দ্র নন্দন । একাত্তর যুগে মন্বন্তরের গণন ॥ চতুর্দশ মম্বন্তরে যত কল্প হয়। এই পরমায়ু মম পাণ্ডুর তনয় ॥ --ممتکبیر