br88 চন্দ্রোত্তংসাং ত্রিনেত্রাং চতস্থভিরসিমৎ খেটকং বিভ্রতীভিঃ, [ মহাভারত। শুনিয়া পুলক হৈল রাজার শরীরে । যুধিষ্ঠির বলেন আনহ সবাকারে ॥ তবে কৃষ্ণ ধনঞ্জয় করিয়া গমন । যজ্ঞস্থানে আনিলেন যত রাজগণ ॥ নিজ পরিচয় দিল যতেক ভূপতি । সমাজে বসিল ধৰ্ম্মে করিয়া প্ৰণতি ॥ হস্তিনানগরে বড় আনন্দ হইল । নানামত আয়োজনে সবারে তুষিল ॥ রজনী বঞ্চিল সবে অতি কুতুহলে। সমাজ করেন কৃষ্ণ অতি উষাকালে । অৰ্জ্জুন বিদুর ধৃতরাষ্ট্র নরপতি । যুধিষ্ঠির পাছে সব বসিলেন তথি । হংসধবজ নীলধ্বজ শিখিধ্বজ রায় । যুবনাশ্ব বীরব্রহ্ম বসিল সভায় ॥ অসুশল্প বক্রবাহ চন্দ্রহংস আদি । আর কত নাম লব যতেক নৃপতি । ত্রিকোটি পদ্মিনী সঙ্গে প্রমীলা স্বন্দরী । সভাতে বসিল সবে নানা বেশ ধরি ॥ গান্ধারী প্রভৃতি রাণী আর যে রমণী । বসিল উত্তম স্থানে সঙ্গেতে রুক্মিণী ॥ হস্তিনানগর মধ্যে যত প্রজা ছিল । যজ্ঞ দেখিবারে সবে সত্বরে চলিল ॥ পরিহাস অর্জনে করেন নারায়ণ । প্রমীলা সহিত সখ। ভাল হৈল রণ ॥ তিন কোটি পদ্মিনীর সঙ্গেতে বঞ্চিল । আমি মনে ভয় পাই কেমনে তুষিলা ॥ অৰ্জ্জুন বলেন দেব নাহি জান তুমি । ষোড়শ সহস্ৰ শত তোমার রমণী । কৃষ্ণ অর্জুনের কথা অনেক আছিল । বাহুল্য কারণে তাহা লেখা নাহি গেল ॥ শেষেতে কহিব আমি এ সব কথন । এবে যজ্ঞ সাঙ্গ কথা শুনহ রাজন ॥ ব্যাসে বলিলেন তবে ধৰ্ম্মের নন্দন । কত যজ্ঞ অবশেষ কহ তপোধন ॥ ব্যাস বলিলেন শুন ধৰ্ম্মের তনয় । কিছু যজ্ঞ অবশেষ পূর্ণ নাছি হয় । i i | আয়োজন যজ্ঞ শেষে করহ ভূপতি । তুরগ আনহ শীঘ্ৰ শুন মহামতি ॥ ব্যাসের বচনে সবে পাইয়া আনন্দ । অষ্টবার করিলেন মণ্ডপ স্বচ্ছন্দ ॥ অষ্টগোট কুণ্ড স্থাপিলেন সেইখানে । ধ্বজ দণ্ডে পতাকা শোভিত স্থানে স্থানে যজ্ঞ উপহার যত জানিল সেখানে । ধৌম্য পুরোহিত আসি বসিল আসনে ॥ ব্যাস বলিলেন শুন ধৰ্ম্ম নৃপমণি। ভীমে মান করিবারে আজ্ঞা দেহ তুমি ; অশ্বহন্ত এক ভীম বিনা কেহ নয় । শুন যুধিষ্ঠির আমি কহিনু তোমায় । ব্যাসের বচনে রাজা কহেন ভীমেরে । আজ্ঞা পেয়ে ভীমসেন শীঘ্ৰ স্নান করে । খড়গ হস্তে করি ভীম রহিল সেখানে । অশ্ব আনিলেন পার্থ পরম যতনে । নানাতীর্থ জলে ঘোড় স্নান করাইল । মনোমত ক্রিয়া যত মুনিরা করিল ৷ চারিদিকে জয়ধ্বনি মঙ্গল ঘোষণা । শঙ্খ ঘণ্টা ধ্বনি আর বিশেষ বাজন ॥ মুনি সব ঢালে ঘৃত অগ্নির উপর । অশ্ব গলে মালা দেন ধৰ্ম্ম নরবর ॥ ব্যাস বলে নিপাপী হইল অশ্ববর। অতঃপর খড়গ লহ বীর বৃকোদর ॥ হাতে খড়গ নিল ভীম মুনির বচনে । কাটিল অশ্বের মুণ্ড সভা বিদ্যমানে ॥ অশ্বমুণ্ড মহাবেগে উঠিল আকাশে । জয়ধ্বনি সভামধ্যে হইল হরিষে ॥ অশ্ববর স্কন্ধ হইতে দুগ্ধ নিঃসরিল । i | | | | রক্ত না পড়িল সবে নয়নে দেখিল । সুবাসিত কপূর তাম্বুল পুষ্প নিয়া । যজ্ঞ পূর্ণ ধৌম্য করে বেদ উচ্চারিয়া । ইন্দ্র যম বরুণেরে দিলেন আহুতি । নৈঋতে কুবের আদি যত দিকৃপতি ॥ ত্রিভুবনে দেবাস্থর ষত চরাচর । সবাকে আহুতি দেন ধৰ্ম্ম নরবর। ।
পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৮৫৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।