মুম্বলপৰ্ব্বTTশ্ৰবাদ পণ্ডিতের ধ্যান=ন্নাভ্ৰয়াম স্ক্রপ্রবাসী তমাদ্ধান হীন অস্ত্র কৈল তোমা সংগ্রাম ভিতরে । কেশে ধরি উদ্যম করিল কাটিবারে ॥ হেনকালে কহিলাম অৰ্জুন নিকটে । ছের দেখ শিনিপুত্ৰ পড়িল সঙ্কটে ॥ ভূরিশ্রব কাটে দেখ সাত্যকির শির। ভূরিতে করহ রক্ষা ধনঞ্জয় বীর ॥ আমার বচনে তবে কুন্তীর কুমার । খড়গ সহ হস্ত কাটি পাড়িলেক তার ॥ হস্ত কাটা গেল তার অর্জুনের বাণে । ভূমে লোটাইয়া বীর পড়ে সেইক্ষণে ॥ ভূমিতে পড়িল প্রায় ত্যজিল জীবন। খড়গ ল’য়ে তুমি তারে কাটিলে তখন ॥ এই বীরপণ। তুমি করিলে সমরে । দপ করি কথা কহ সভার ভিতরে ॥ কোন পরাক্রমে ভূরিশ্রবাকে মারিলে। বড় কৰ্ম্ম কৈলে বলি মনে বিচরিলে ॥ পাপীর সংসর্গে পাপ বাড়ে নিতি নিতি । এখানে উচিত নছে তোমার বসতি ॥ মৰ্য্যাদা থাকিতে উঠি করহ গমন । অন্য ঠাই বৈদ তুমি যথা লয় মন ॥ শুনিয়া কৃষ্ণের মুখে এতেক বচন । বিস্ময় মানিয়া চাহে যত যদুগণ ॥ মনে মনে শিশু সব করে অনুভব । কৃষ্ণের পরম প্রিয় সত্যকি উদ্ধব ॥ এত দিনে সাত্যক বিচ্ছেদ হৈল প্রায় । নহে কটুত্তর এত কহে যদুরায় ॥ কৃষ্ণের উত্তর শুনি শিনির নন্দন। মহাকোপে গজি উঠিল সেইক্ষণ ॥ বারুণী মদিরাপানে ঘূর্ণিত লোচন । দীর্ঘশ্বাস ছাড়িলেন মহাকোপ মন ॥ কর পদ কম্পিয়া কম্পয়ে ওঠাধর । কড় মড় দশন মর্দয়ে করে কর ॥ গর্জনেতে বলিলেন গোবিন্দের প্রতি । আমায় এমন বাক্য কহরে দুৰ্ম্মতি ॥ তোমার দুষ্কৰ্ম্ম যত কেবা নাহি জানে । কপটে মারিলে পাণ্ডবের বন্ধুগণে ॥ هو اسb অবোধ পাণ্ডব সব তোমার উত্তরে । রণজয় করিয়া রহিল স্থানান্তরে ॥ যদি সবে এক ঠাই বঞ্চিত রজনী । তবে কেন সৰ্ব্বনাশ করিবেক দ্রোণি ॥ তুমি আমি পঞ্চ ভাই পাণ্ডুর নন্দন । তব বাক্যে স্থানান্তরে রহি সৰ্ব্বজন ॥ ধৃষ্টদ্যুম্ন আদি পঞ্চ দ্রৌপদীকুমার। রহিল শিবিরে যেন অনাথ অfকার ॥ নিশিযোগে ছিল সবে নিদ্রীয় বিহুবলে । চোররূপে তিনজন গেল সেইকালে ॥ কৃপ কৃতবৰ্ম্ম আর দ্রোণি দুষ্টমতি । নিদ্রিত জনেরে মারে দুর্জন প্রকৃতি ॥ যদি আমি থাকিতাম কিম্বা পাণ্ডুস্থতে । কার শক্তি দ্রৌপদীর পুত্র বিনাশিতে ॥ কৃতবৰ্ম্ম কৃপ দ্রোণি তিন দুরাচীর । ! ইহা হৈতে পাপকারী কেব। অাছে আর ॥ না বলিয়া অস্ত্র যদি প্রহারয়ে প্রাণে । অস্ত্রহীন জনে আর হীনশক্তি জনে ॥ অবিরোধি জনে যেই করয়ে প্রহর । তাহ সম পাপী নাহি বেদের বিচার ॥ সকল অধৰ্ম্ম পথ যে জন সিঞ্চিল । সে জন ধাৰ্ম্মিক হ’য়ে সভাতে বসিল ॥ তোমা সম কপটী, কে পাপী দুরাচারী। সকল হইল নষ্ট তোমার চাতুরী ॥ কপট তোমার যত ধৰ্ম্মের বিচার । কোন ঠাই বীরপণা না দেখি তোমার ॥ জরাসন্ধ ভয়েতে ত্যজিয়া মধুপুরী । সমুদ্র ভিতরে বৈস দ্বারকানগরী ॥ ক্ষুদ্র জন বড় জন কেবা নাহি জানে। নন্দের নন্দন তুমি বাস বৃন্দাবনে ॥ গোপ অন্ন খাইয়া বঞ্চিলে গোপগৃহে। গোপাল বলিয়া নাম তেঁই লোকে কহে ॥ জন্মের নির্ণয় তব কেবা নাহি জানে । বসুদেব দৈবকীর পশিলা স্মরণে ॥ পিতা বস্তুদেব হৈল দৈবকী জননী। বসুদেব-তনয় বলিয়া সবে জানি ॥
পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৮৭৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।