পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৮৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ե-ԳԵ- দুষ্ট দৈত্যাপহ দেবী বৈষ্ণবী বনমালিনী। তব মুখে শ্রেতবাক্য স্থধা হৈতে স্বধা । শ্ৰবণেতে আমার খণ্ডিল সব ক্ষুধা ॥ পিতামহ উপাখ্যান অপুর্ব আখ্যান । তব মুখে শুনিলে জন্ময়ে দিব্যজ্ঞান ॥ বিখ্যাত বৈশম্পায়ন মহাতপোধন । ব্যাস উপদেশ শাস্ত্রে অতি বিচক্ষণ ॥ নৃপতির বাক্য শুনি আনন্দিত মনে । কহিতে লাগিল মুনি জন্মেজয় স্থানে ॥ মুনি বলে শুন কুরুবংশ চূড়ামণি । অনন্তরে শুন পিতামহের কাহিনী ॥ বসিলেন ধৰ্ম্মরাজ রত্ন সিংহাসনে । শিরেতে ধরিল ছত্র পবন-নন্দনে ॥ চামর চুলায় দুই মদ্রবতী-স্থত । পাত্র মিত্র অমাত্য সংযুত গুণযুত ॥ সভায় বলিয়। রাজা ধৰ্ম্ম অবতার। হরষিতে বলি সবে করেন বিচার ॥ হেনকালে অমঙ্গল দেখি বিপরীত । দিবসেতে শিবাগণ ডাকে চারিভিত ॥ অন্তরীক্ষে গৃধ্ৰুপক্ষী উড়ে বীকে ফঁাকে । বিপরীত শবদ করি ঘন ডাকে কাকে ॥ বিনা মেঘে ঘোর ডাকে ভীষণ গর্জন । বিপরীত বাত বহে ভস্ম বরিষণ ॥ প্রবল প্রলয়ে যেন অগ্নি বরিরণ । ঘোরতর শব্দে ডাকে পশু-পক্ষীগণ ॥ ঘরে ঘরে নগরে লোকের কলরব । অন্ত্যে অস্যে কোন্দল করয়ে লোক সব ॥ পিতাপুত্রে বিবাদ শাশুড়া বধূ সনে । ব্রাহ্মণ সহিত দ্বন্দ্ব করে শূদ্রগণে ॥ জনকের কেশে ধরি মারয়ে তনয় । ভাল মন্দ নাহি মুখে যাহা আসে কয় ॥ দেউল প্রাচীর ভাঙ্গে দেবের দেহর । প্রতিম। সকল নাচে গায় মনোহর ॥ অবিশ্রান্ত ক্ষণে ক্ষণে নাচে বসুমতী । বিবিধ উৎপাত বহু হইল অনীতি ॥ দেখিয়া বিস্ময় চিত্ত ধৰ্ম্মের নন্দন । চিন্তাযুক্ত হয়ে মনে করেন ভাবন ॥ [ মহাভারত । না জানি কি হেতু হয় এত অমঙ্গল । মন স্থির নহে মম হৃদয় বিকল ॥ দ্বারকানগরে গেল পার্থ মহারথ । তার ভদ্রাভদ্র কিছু না পাই বারত ॥ না জানি কি বিরোধ করিল কার সনে। নাহি জানি কি কৰ্ম্ম করিল সেইখানে ॥ কিবা পার্থ সমরে পাইল পরাজয় । এত অমঙ্গল দেখি অকণরণ নয় ॥ কিরূপে ত্বরিতে পাই পার্থের বারতা । শীঘ্ৰগতি দূত পঠাইয়া দেহ তথা ॥ কি কারণে আজ মম আকুল পরাণ । বাম আখি নীচে এই বড় অলক্ষণ ॥ এইরূপে যুধিষ্ঠির করেন ভাবন । বিষাদ করেন রাজা চিন্তাকুল মন ॥ পার্থ আইলেন তবে দ্বারক হইতে । হস্তিনায় প্রবেশিল কান্দিতে কান্দিতে ॥ হায় কৃষ্ণ বলিয়া কন্দেন ঘনে ঘন । কিমতে যাইব আমি হস্তিন ভুবন ॥ কি বলিব গিয়া আমি ধৰ্ম্ম নৃপবরে। হায় প্রভু তোমা বিনা কি হবে আমারে । নয়নযুগলে বারি বহে অনিবার । শুল্কমুখে কৃষ্ণ কৃষ্ণ বলি হাহাকার ॥ ! গাণ্ডীব ধরিতে নাহি হইলেন ক্ষম । কৃষ্ণের সহিত গেল বীরত্ব বিক্রম ॥ রথেতে গাণ্ডীব রাখি বীর ধনঞ্জয় । পদব্রজে চলিলেন অতি দীন প্রায় ॥ দূরে দেখি ধৰ্ম্ম জিজ্ঞাসেন বৃকোদরে । এই দেখ অৰ্জ্জুন আসিছে কতদূরে ॥ অর্জনের রথ হেন পাই দরশন । .| অৰ্জুন আইসে মম হেন লয় মন ॥ কিহেতু এতেক ধীরে চলে রথবর । বিষাদ গমন হেন বুঝি যে অন্তর ॥ অর্জনেরে দেখি আজি বড়ই মলিন । কৃষ্ণবর্ণ শুদ্ধমুখ যেন অতি দীন ॥ g দারুক আইল পূর্বেব কৃষ্ণের আদেশে। অৰ্জুনে লইয়া গেল গোবিদের পা*ে