• ساسا হাহাকার শব্দ করি, কান্দি ধৰ্ম্ম অধিকারী, পড়িলেন ভুমে অচেতন ॥ হা কৃষ্ণ করুণাসিন্ধু, পাণ্ডবগণের বন্ধু, পার্থক্লপ পক্ষীর জীবন। বিবিধ সঙ্কটে ঘোরে,রক্ষা কৈলে বারে বারে, কুরুক্ষেত্র আদি মহারণ ॥ খাণ্ডবদাহন কালে, ইন্দ্র আদি দিকপালে, তোমার কৃপায় হৈল জয় । নিবাত কবচ আদি, যত দেবগণ বাদী, একেল৷ বধিল ধনঞ্জয় ॥ উত্তর গোগ্রহে রণে, ভীষ্ম আদি বীরগণে, ! একেশ্বর জিনিল ফাঙ্কনী । খগেন্দ্রস্থাং বৈষ্ণবীং তাং নমাম্যহম্ । দুৰ্য্যোধন ভয় হৈতে,রক্ষা কৈলে কুরুক্ষেত্রে, : সারথিত্ব করিলে আপনি ॥ পূৰ্ব্বেতে পাশায় জিনি,সভামধ্যে যাজ্ঞসেনী, ধরিয়া আনিল দুৰ্য্যোধন । বিবস্ত্রা করিতে তারে, দুষ্ট দুঃশাসন ধরে, সকল সম্পদ মম সেই জগৎপতি । বস্ত্র ধরি টানে ঘনে ঘন ॥ পঞ্চস্বামী বিদ্যমান, কিছুতে না দেখি ত্ৰাণ, ডাকিল তোমার নাম ধরি ॥ অনাথের নাথ তুমি, তখনি জানিনু আমি, রক্ষা কৈলে দ্রুপদকুমারী ॥ দ্বিতীয় প্রহর নিশি, আসিল দুৰ্ব্বাস ঋষি, ঘোরতর অরণ্য ভিতর । সে সমুদ্রে পাণ্ডুমতে, ফেলাইল কুরুনাথে, তাহাতে রাখিলা দামোদর ॥ বিরাট নগর হৈতে, হস্তিনা আইসে দূতগণে । তোমার মুখের বাণী, না শুনিল কুরুমণি, ঘোরতর করিল দারুণে ॥ কৃপাসিন্ধু অবতার, সঙ্কটে করিলে পার, বন্ধুরূপে পাণ্ডব নন্দনে । পুনঃ আমি শোকান্তরে,অরণ্যে যাবার তরে, সত্য চিন্তিলাম নিজ মনে প্রবোধিয়া বিধিমতে,আমারেরাখিলে তাতে, বুঝাইয়া অশেষ প্রকার। L बहोंडांब्रङ । । হায় দুঃখ বিমোচন, পাণ্ডবের প্রাণধন, তোমা বিনা কে আছে আমার ॥ যুধিষ্ঠির নৃপবর, ধনঞ্জয় বৃকোদর, সহ দুই মাদ্রীর নন্দন । শোকসিন্ধু মধ্যে পড়ি, ধরণীতে গড়াগড়ি, কৃষ্ণ কৃষ্ণ ডাকে ঘনে ঘন ॥ ভারত অমৃত কথা, ব্যাসের রচিত গাথ, সৰ্ব্ব দুঃখ শ্রবণে বিনাশ । কমলাকান্তের স্থত, স্বজনের মনগ্ৰীত, বিরচিল কাশীরাম দাস ॥ দ্রৌপদীর সহিত পঞ্চপাণ্ডবের মহাপ্রস্তান। রাজা বলে ভাই সব কি ভাবিছ আর । ব্রাহ্মণে আনিয়া দেহ সকল ভাণ্ডার ॥ কৃষ্ণ বিনা গৃহবাসে নীহ প্রয়োজন । কৃষ্ণের উদ্দেশে যাব নিশ্চয় বচন ॥ তাহ বিনা তিলেক উচিত নহে স্থিতি ॥ যথায় পাইব দেখা শ্রীনন্দনন্দনে । কৃষ্ণ অনুসারে আমি যাইব আপনে ॥ বুঝিয়া রাজার মন ভাই চারিজন । করপুট হইয়া করেন নিবেদন ॥ পাণ্ডবের গতি তুমি পাণ্ডবের পতি । তুমি যেই পথে যাবে সেই পথে গতি ॥ তোমা বিনা কে আর করিবে কোন কায । কৃপায় সংহতি করি লছ ধৰ্ম্মরাজ ॥ দুৰ্য্যোধন কুরুন্থতে, : আজন্ম তোমার পাশে নহি বিচলিত । আমা সব ত্যজিবারে নহে ত উচিত ॥ এত শুনি আশ্বাসেন ধৰ্ম্ম নরপতি । প্ৰণমিয়া করপুটে কহেন পার্ষতি ॥ আমি ধৰ্ম্মপত্নী তব ভাই পঞ্চজনে । আমারে ছাড়িয়া সবে যাইবে কেমনে ॥ | তোমা সব সঙ্গে আমি যাইব নিশ্চয় । অনুগত জনেরে না ত্যজ কৃপাময় ॥ | তোমার যে গতি রাজা আমার সে গতি । অনুগত জনে রাজ করছ সংহতি ॥
পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৮৯৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।