কখয়ে স্বামী বিবেকানন্দ হইলাম। কারণ সচরাচর ভাস্করানন্দজীর চিত্তচাঞ্চল্য পরি লক্ষিত হইত না। সম্মুখস্থিত বাঙ্গালী সন্ন্যাসীটি বলিলেন, “ মহারাজ, হম্ অবশ্য উনকো লিখেগে ; উয়াে অভি দেওঘরমে বায়ুপরিবর্তনকে লিয়ে গিয়া হয়। স্বামী ভাস্করানন্দজী উক্ত সন্ন্যাসীদিগকে পুনরায় রাত্রিকালে আসিতে অনুরােধ করিয়া বিদায় বার পর আমি তাঁহাদিগের সঙ্গ একজন ভদ্রলােককে জিজ্ঞাসা করায় জানিতে পারিলাম যে, ইনি হইতেছেন স্বামী বিবেকানন্দজীর গুরুভাই স্বামী নিরনানন্দ। এইরূপে কিছুকাল যাইবার পর একদিন সন্ধ্যা করিয়া উঠিয়াছি এমন সময় চারুবাবু আমার বাটীতে গিয়া আমাকে বামী শুদ্ধানন্দজীর ‘উদ্বোধনের গ্রাহক সংগ্ৰহাৰ্থ আদেশ জানাইলেন। কিন্তু আমি সেই দিনই নির্জনবাসের জন্য উদ্যোগী হইতেছিলাম বলিয়া দুঃখের সহিত অক্ষমতা প্রক করিলাম। আমি নির্জনবাসের জন্য অসি-ঘাটের এক বৈষ্ণব মঠে ব্যবস্থা করিতে যাইব শুনিয়া তিনিও আমার সহিত যাইতে ইচ্ছা প্রকাশ করিলেন। সেই অবধি তাহার সহিত আমার ঘনিষ্ঠতার সূত্রপাত হইল এবং তাঁহার নিকট হইতে বামিজীর বিষয় শ্রবণ করিয়া এবং স্বামিজীর ‘জ্ঞানযােগ প্রভৃতি পুস্তক তাঁহার কাছে পাঠ করিয়া দিন দিন স্বামিজীর
- মতান্তরে, স্বামিজী দেওঘরে গিয়াছিলেন ডিসেম্বর মাসে (
১৮৯৮)। প্রমথনাথ বা লিখিত “বামী বিবেকানন্দ ভ্রষ্টব্য। সঃ
