পাতা:কাশীধামে স্বামী বিবেকানন্দ - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কখানে স্বামী বিবেকানন্দ মনে করিয়া আমরা নিম্নস্থ গালিচা বা আস্তরণের উপর বিনীত- ভাবে উপবেশন করিলাম। ইহা দেখিয়া স্বামিজী কথা বন্ধ করিয়া ঘন ঘন আমার দিকে সস্নেহ দৃষ্টি নিবদ্ধ করিতে লাগিলেন। বাক্যেতে যত না হউক, মুখভঙ্গি ও দৃষ্টিতে স্নেহপূর্ণভাব অতিশয় প্রকাশ পাইতে লাগিল। আমি একেবারে মােহিত হইয়া পড়িলাম। স্বামিজী অতি স্নেহপূর্ণ করুণস্বরে যেন অত্যন্ত ব্যথিত হইয়াছেন এইভাবে আমাদের উভয়কে পুনঃ পুনঃ অতি করুণ ও মিনতিস্বরে বলিতে লাগিলেন, “উঠে বস বাবা, উঠে বস।” বুঝিলাম যেন মানুষের ভিতর উচু-নীচু ভাব তাঁহার কষ্টদায়ক হইতে লাগিল। কারণ সকলের ভিতরেই সেই এক ব্ৰহ্ম এবং সকলেই এক আসনের অধি- কারী—ইহাই তাঁহার মুখভঙ্গি এবং কথাতে প্রকাশ পাইতে লাগিল। আমরা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হইয়া পুত্তলিকার ন্যায় তাঁহার সুখাসনে গিয়া বসিলাম। এইরূপ প্রেমপূর্ণ সম্ভাষণে ও আকর্ষণে স্বামিজীকে আমাদের এরূপ অন্তরের লােক বলিয়া প্রতীতি জন্মিল যে, আমরা তন্মুহূর্তে অজ্ঞাতভাবে তাহার শ্রীচরণে আত্মসমর্পণ করিলাম। ইহাই হইল আমাদের প্রকৃত দীক্ষার সময় ও দীক্ষার স্থল। জ্বলন্ত ও সুস্পষ্টভাবে সেই চিত্রটি সর্বদাই আমার চক্ষুর সম্মুখে বর্তমান রহিয়াছে। রাত্রিকালে চারুবাবু, হরিদাস চট্টোপাধ্যায় আমি স্বামিজীর আবাসে প্রায় থাকিতাম। ভােজনের সময় প্রায় সকলে একত্রে বসিতাম। ভােজনের সময় যে জিনিষটা সুস্বাদু