পাতা:কাশীধামে স্বামী বিবেকানন্দ - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাশীধামে স্বামী বিবেকান লাগিত, স্বামিজী অতি স্নেহপূর্ণভাবে আনন্দ প্রকাশ করিয়া স্বহস্তে সেইটি তুলিয়া আমাদের পাত্রে দিতেন এবং তৎপ্রদত্ত বস্তুটি আমাদের সুস্বাদু লাগিয়াছে কিনা জানিবার আমাদের মুখের দিকে চাহিয়া থাকিতেন এবং আনন্দ করিয়া প্রশ্ন করিতেন, “কিরে, কেমন লাগলাে, তাের ভাল লাগলাে কি? খা, খা, বেশ করে খা, জিনিষটা আমার বেশ ভাল লেগেছে তাই তােকে দিচ্ছি।” জগৎমাতার সন্তানের প্রেম যে কি কম এবং বাৎসল্যােব কাহাকে বলে, দর্শনশাস্ত্র পড়িয়া তাহা বিশেষ বুঝা যায় না। স্বামিজী এইরূপ মধুরস্বরে স্নেহ- পূর্ণভাবে নিজের পাত্রস্থ নিজের প্রীতিকর বস্তু আমাদের আদর করে খেতে দিতেন তাহাতে বাৎসল্য প্রেম যে কি তাহা স্পষ্ট প্রত্যক্ষ করিলাম। ইহা কেবলমাত্র প্রসাদ নয়-- গভীর প্রেম ; ভালবাসা পিণ্ডীকৃত হইয়া খাদ্যরূপ ধারণ করিয়া আমাদের মুখেতে আসিতে লাগিল। ইহাতে বস্তুর স্বাদ বা স্বামিজীর প্রেম কোটার আধিক্য ছিল, ইহা প্রতীয়মান করা কঠিন। আমরা কালীকৃষ্ণ ঠাকুরের বাসায় প্রথম প্রথম নিত্য যাতায়াত করিতাম এবং মাঝে মাঝে তথায় রাত্রিবাসও করিতাম। তখনকার সেবাশ্রম হইতে উক্ত বাড়ীটি পাঁচ মাইল দূর হওয়াতে আমরা সব সময় উপস্থিত থাকিতে পারিতাম না। একদিন শিবানন্দ স্বামী সকলকে দীক্ষা দিবার জন্য স্বামিজীর নিকট কথা উত্থাপন করেন। স্বামিজী