পাতা:কাশীধামে স্বামী বিবেকানন্দ - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাধামে গমী বিবেকানন্দ তাহাতে সম্মত হন কিন্তু তখন আর এ সম্বন্ধে কোন দিন নির্ধারিত হয় নাই। চাকবাবু এবং হরিদাস চট্টোপাধ্যায় আমাকে স্বামিজীর নিকট পুনরায় কথা উত্থাপন করিতে বলায় আমি তাঁহার নিকট দীক্ষার বিষয় বলিলাম। তিনি রহস্য- চ্ছলে বলিলেন, “কেন, তােরা তত রামানুজী বৈষ্ণবভাবে দীক্ষিত, বিষ্ণুমূর্তি তাে ভাল, তাের দীক্ষার তাে আমি কোন প্রয়ােজন বুঝছি না।” আমি বলিলাম, “আপনার ন্যায় যােগীর নিকট আমার দীক্ষা নিতে ইচ্ছ।” এই কথায় তিনি হাসিয়া সম্মত হইলেন। ইহার পর আমার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা যিনি ডাক্তার ছিলেন, তঁহার তিরােধান হওয়ায় আমি অত্যন্ত ব্যথিত হই; যেন বন্দুকের গুলি আসিয়া আমার হৃদয় বিদ্ধ করিল। কিন্তু তৎক্ষণাৎই শশাকের উপশম হইল। আমার মনে হইল ইহা স্বামিজীর বিশেষ কৃপা। নির্ভয়ানন্দ স্বামী স্বামিজীর আহারের আটা আনিবার জন্য আমায় একটি টাকা দিয়াছিলেন, সেইজন্য আমি শােকসন্তপ্ত হৃদয়েও আশ্রমে আটা লইয়া গিয়া সমস্ত বন্দোবস্ত করিয়া দিলাম পাছে স্বামিজীর কষ্ট হয়। স্বামিজীর প্রতি আমার অনুরাগ এত প্রগাঢ় হইয়াছিল যে, আমি ভ্রাতৃবিয়োগজনিত সমস্ত কষ্ট ভুলিলাম। কিছুদিন পরে আমি স্বামিজীর নিকট যাই এবং তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “তাের নাকি ভাই মারা গেছে। তাের কিরূপ বােধ হ’লমাকে কি বললি?” প্রত্যুত্তরে আমার মনের অবস্থা এবং সমস্ত ঘটনা