পাতা:কাশীধামে স্বামী বিবেকানন্দ - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাশীধামে স্বামী বিবেকানন্দ এই সময় জনৈক অল্পবয়স্ক যুবক দেশ হইতে আসিয়া উপস্থিত হয়। যুবকটি অনন্যোপায় হইয়া আশ্রমের কমে যােগ দিল। তাহার শরীর দুর্বল ও রুগ্ন ছিল। যুবকটি একদিন স্বামিজীকে দর্শন করিতে যায়। স্বামিজী তাহাকে নানাবিধ প্রশ্ন করিয়া তাহার সমস্ত পরিচয় লইলেন। শরীর রুগ্ন ও কৃশ দেখিয়া স্বামিজী ব্যথিত ও উন্মনা হইয়া পড়িলেন এবং মধুরস্বরে তাহাকে বলিলেন,-“বাবা, তােমার শরীরটা বড় দুর্বল, তুমি প্রত্যহ দিনের বেলা এখানে এসে খাবে, পেটে না খেলে কাজ করা যায় না; তা তুমি বােজ দুপুরবেলা এসে আমার সঙ্গে খাবে।” যুবকটির সেবা- শ্রমের কাজ করিয়া আসিতে কখন কখন বিলম্ব হইত। স্বামিজীর শরীর অসুস্থ, তাঁহার সময়মত স্নানাহার না হইলে পীড়া বৃদ্ধি পাইত। সেইজন্য সকলে তাঁহাকে সময়মত স্নানাহার করিতে বলিতেন। আহারের অনিয়ম হইলে শরীর বিশেষ খারাপ হয়। ডাক্তার ও তঁাহার গুরুভাযের সর্বদা তাঁহাকে আহারের বিষয় নিয়মিত হইবার জন্য মিনতি করিতেন এবং স্বামিজীও সে বিষয় বিশেষ বুঝিতেন। কিন্তু স্নেহ এমনই জিনিষ, এমনই তাহার প্রবল শক্তি যে, বিধি নিয়ম ও পীড়ার বৃদ্ধি কিছুই সে মানে না; সকল নিষেধ অতিক্রম করিয়া নিজের প্রাধান্য প্রকাশ করিয়া থাকে। যুবকটির জন্য স্বামিজীর মন আহারের পূর্বে পুর্বে উদ্বিগ্ন হইয়া উঠিত। বহুমূত্র রােগীর