পাতা:কাশীধামে স্বামী বিবেকানন্দ - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাশীধামে স্বামী বিবেকানন্দ বালকটিকে দ্বারদেশে দেখিয়া স্বামিজীর মুখভাব তদ্রুপ প্রফুল্ল হইয়া উঠিল। চিন্তিত, কুঞ্চিত ও উদ্বিগ্ন ভাব তিরােহিত হইল, মুখ হরষে পরিপূর্ণ হইল, স্মিতমুখে মধুরস্বরে স্বামিজী বালকটিকে প্রশ্ন করিলেন, “কি রে বাবা, এত দেরী হ’ল কেন? কাজ বডড পড়েছিল নাকি ? সকালে কিছু জল খেয়েছিলি তা তাের জন্য এখনও আমি কিছু খাই নি ; আয, হাত পা ধুয়ে নে, শিগগির শিগগির খাইগে চল। আমাব শরীর অসুস্থ। সময়মত না খেলে অসুখ বাড়ে। একটু সকাল সকাল আসবার চেষ্টা করবি—তবে কাজের ঠেলা কি করবি বল।” বালকটি যদিও কথা কহিয়া কোন কৃতজ্ঞতা বা আনন্দে প্রকাশ করিতে পারিল না কিন্তু নয়ন দিয়া সরলভাবে স্বামিজীকে ক্ষণে ক্ষণে নিরীক্ষণ করিতে লাগিল এবং যে ইহাতে বিশেষ অনুগৃহীত ও কৃতার্থ হইয়াছে, তাহার নম্র মুখ, লজ্জিত অধােবদন ও করুণাপূর্ণ দৃষ্টি দেখিয়া সকলেই তাহা বুঝিতে পারিল। স্বামিজী বালকটিকে আপনার পশ্চাতে লইয়া আহার করিতে গেলেন। সকলে উপবেশন কবিলে স্বামিজী বালকটির দিকে সর্বদাই দৃষ্টি রাখিলেন এবং আপনার পাত্র হইতে সুস্বাদু জিনিষ লইয়া বালকটির পাত্রে দিতে লাগিলেন। বালকটি নির্বাক ও আনন্দে পুলকিত হইয়া তাহা অতীব দুলভ অমৃততুল্য বস্তু বােধ করিয়া আহার করিতে লাগিল। যতক্ষণ পেটে