পাতা:কাশীধামে স্বামী বিবেকানন্দ - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাশীধামে স্বামী বিবেকানন্দ ধরিতে পারে ততক্ষণ আমিজী নিজের পাত্র হইতে উঠাইয়া মুম্বাই মিষ্ট জিনিষ তাহাকে খাওয়াইতে লাগিলেন। নিজে কিছু খাইলেন কি না তাহা একবারও তাহার মনে উদয় হইল । হয়ত নিয়মিত আহারেরও কিঞ্চিৎ হইল; কিন্তু নিরাশ্রয় গরীবদের সেবা করা এবং বালকটি নিরাশ্রয় ও অল্পবয়স্ক বলিয়া ইহাকে আহার করান যেন স্বামিজীর মহৎ কার্য। স্বামিজী এই কার্যে আনন্দিত ও পুলকিত হইয়া আপনার আহার বিস্মৃত হইয়া গেলেন। অন্যান্য সকলে নিজ নিজ খাদ্য খাইতেছিলেন—স্বামিজীর প্রেমপূর্ণ সম্ভাষণ ও বালকটি আহার করিতেছে দেখিয়া, স্বামিজীর আনন্দ ও মুখচোখের ভাবভঙ্গি দেখিয়া তাহারা নিজ নিজ আহার্যের বিষয় বিস্মৃত হইযা স্বামিজী ও বালকের ভােজনলীলা দেখিতে লাগিলেন ও মাঝে মাঝে আনন্দ করিয়া স্বামিজীকে অনুনয় করিতে লাগিলেন, “স্বামিজী, আপনার আহার হইতেছে না, আপনি একটু আহার করুন।” কিন্তু কাহাকেই বা বলিতেছেন, কেই বা শুনিতেছেন। স্বামিজী যেন আত্মহারা হইযা বালকটিকে ভােজন করাইতেছেন, যেন প্রত্যক্ষ গােপালকে আহার করাইতেছেন, শুধু অভ্যাসবশতঃ মাঝে মাঝে নিজে খাইতেছেন। ভােজন-গৃহটি যেন আনন্দ উৎসবে পরিপূর্ণ হইয়া উঠিল। ইহা মানবলীলা কি দেবলীলা তাহা বিচার করা সুকঠিন। আনন্দ আনন্দকেই বৃদ্ধি করিয়া থাকে। আনন্দ স্বয়ংই প্রত্যক্ষ বস্তু, আহার ত নিমিত্ত মাত্র। এরূপ