পাতা:কাশীধামে স্বামী বিবেকানন্দ - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাশীধামে স্বামী বিবেকানন্দ এবং লােকের গায়ে মাখামাখি হইতেছিল। স্বামিজীর এরূপ পরিহাসমুখ আমি আর কখন দেখি নাই। মাধুর্য, শুদ্ধতা, বালকভাব এবং অকপট মনােভাব সব যেন একভাবে প্রস্ফুটিত হইয়াছে। স্বামিজীর গম্ভীর ও শান্ত মূর্তি অনেক দেখিয়াছি কিন্তু এরূপ আনন্দপূর্ণ কৌতুকমিশ্রিত হাস্যমুখ আর কখনও দেখি নাই। সাধারণ সাংসারিক লােক হাস্য করিলে তাহার ভিতর একটা বিরক্তি বা অবজ্ঞার ভাব থাকে, মনেতে চাপল্য বা অন্য কোন প্রকার বিকৃতি-ভাব অনষন করিয়া দেয়। কিন্তু দেখিলাম যে, স্বামিজীর সেই কৌতুক ও রহস্যময় ভাবগুলির ভিতর এক গম্ভীর ভাব মনকে উচ্চপথে লইয়া যাইতেছে। হর্ষ ও ভাবােচ্ছ্বাস, ইহাও যে ঈশ্বর লাভের এক পন্থা তাহা আমরা পূর্বে জানিতাম না । এক্ষণে স্বামিজীর কৃপায় বেশ বুঝিতে পারিলাম। বৈষ্ণব কবিরা হলাদিনী শক্তির বিশেষ প্রশংসা করিয়া থাকেন এবং বিরহ, মিলন, রাস, অভিসার প্রভৃতি নানা- প্রকার ভাবে বর্ণনা করিয়া থাকেন। বেদান্ত ও অপর শ্রুতিমার্গ চিত্তবৃত্তি নিরােধ করিয়া চিত্তকে উধ্ব দিকে লইয়া মাইতে আদেশ করেন। কেবল বৈষ্ণব কবিরাই বলেন, চাপল্যের ভিতর মাধুর্য ও হলাদিনী শক্তি পাওয়া যায়। তাঁহারা বলেন, হাদিনী, সঙ্গিনী, সম্বিৎ,অর্থাৎ হলাদিনী আসিলে ভক্তি, জ্ঞান, সকলেই সঙ্গে সঙ্গে আসিবে। লীলাকে