পাতা:কাশীধামে স্বামী বিবেকানন্দ - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাধামে স্বামী বিবেকানন্দ আমি সাষ্টাঙ্গ হইয়া এবং হস্তদ্বয় লম্বমান করিয়া মেঝের উপর লম্বা হইযা প্রণাম করিলাম। তাহাতে তিনি হাসিয়া খুব কৌতুক করিতে লাগিলেন। এরূপ কথােপকথন ও হাস্য-রহস্য হইতেছে এমন সময় একজন ব্রহ্মচারী আসিয়া বলিলেন যে, কাশীর কেদারনাথের মহান্ত মহারাজজী স্বামিজীর সহিত দেখা করিতে আসিয়া- ছেন। শ্রবণমাত্রই স্বামিজী তাহাকে সাদর সম্ভাষণ করিযা বসাইতে বলিলেন এবং সেই হাস্যোৎফুল্ল বদন সহসা তিনােহিত হইয়া তাহার পরিবর্তে স্থির ধীর গম্ভীর ও অজ্ঞাপ্রদ মুখ ও প্রদীপ্ত নয়নদ্বয় আবির্ভূত হইল। স্বতন্ত্র ব্যক্তি দেহাভ্যন্তর হইতে প্রকাশিত হইল। তখন আর কাহারও হাস্যকৌতুক কৰিবার সামর্থ্য রহিল না। সকলেই স্ব স্ব স্থানে সংযত হইয়া বসিতে লাগিল। গৃহের পূর্বভাব পবিবর্তিত হইয়া তেজঃপূর্ণ নিস্তব্ধ বায়ুতে পর্যবসিত হইল। যেন সেই গৃহমধ্যে হাস্য- কৌতুক পূর্বে কখন হয নাই এবং উপস্থিত লােকেরাও যেন কেহ হাস্যকৌতুক করে নাই। নিমেষমধ্যে ঘনভাব প্রবর্তিত করিয়া দিলেন ; আবার আর একজন স্বামী বিবেকানন্দ হইয়া উঠিলেন। আমার যেন বােধ হইতে লাগিল,-“নূতন গগন যেন নব তারাবলী, নব নিশাকান্তকান্তি।” যে ঘরে কেদারের মহান্তজীকে অভ্যর্থনা করা হইয়া- ছিল, স্বামী শিবানন্দকে লইয়া স্বামিজী সেই ঘরে প্রবেশ করিলেন। আমরাও তাঁহার পদানুসরণ করিলাম।