পাতা:কাশীধামে স্বামী বিবেকানন্দ - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

08 কাশীধামে স্বামী বিবেকানন্দ মহান্ত মহারাজজী অতীব হর্ষিত হইয়া ভাববাচ্ছাসে কহিতে লাগিলেন, “আজি প্রকৃত দণ্ডীজী ভােজন হুয়া।” তাহার পর সকলে মহান্তজীর অনুরােধে কেদারের মন্দিরেতে চলিলেন। স্বামিজীর সম্মানার্থে কেদারজীর তখনই আরতি হইতে লাগিল। স্বামিজী বাহিরের প্রকোষ্ঠ বা যেখানে নন্দী (বৃষ ) আছেন, সেই গৃহের দ্বারদেশে প্রবেশ করিয়াই একেবারে সমাধিস্থ, বাহ্যজ্ঞানরহিত, নিশ্চল ও নিস্পন্দ হইয়া দণ্ডায়মান রহিলেন। অগ্রসর হওয়া বা পদবিক্ষেপ করিবার সামর্থ্য আর রহিল না, যেন “চিত্রার্পিতারম্ভ ইবাবতস্থে”*। পায়ে মােজা ছিল, জলে ভিজিতেছিল, কিন্তু কাহারও সামর্থ্য হইল না যে, মােজা উন্মোচন করিয়া দেয় বা কোন প্রকার শব্দ করে। সকলেই ভাবে তন্ময় ও জ্ঞানমগ্ন , কাহারও কিছু লক্ষ্য করিবার সময় বা সামর্থ্য রহিল । স্বামিজীর সমাধিস্থ ভাব দেখিয়া সকলের ভিতরকার সুষুপ্ত কুণ্ডলিনী যেন জাগ্রত হইযা উঠিল। সকলেই তন্ময়, সকলেই ধ্যানমগ্ন-অপূর্ব শােভা। অপূর্ব দৃশ্য !! শ্রীশ্রীরাম- কৃষ্ণদেব যে বলিতেন, স্বামিজীর ভিতর শিব বিরাজ করিতে- হেন এবং সপ্তর্ষিমণ্ডল হইতে তাঁহাকে পৃথ্বীতলে আনয়ন করিয়াছিলেন, আজ সেই ভাব, সেই মহাশক্তি প্রজ্জ্বলিত হুতাশনের ন্যায় দেদীপ্যমান হইয়া উঠিল , সকলেই দেখিতে লাগিলেন, সকলেই অনুভব করিতে লাগিলেন। গর্ভগৃহে শিলাময় কেদার-মূর্তি, তাহাতে দীপদ্বারা আরতি হইতেছে ;

  • বধু, ২ সর্গ, শ্লোক ৩১।