পাতা:কাশীধামে স্বামী বিবেকানন্দ - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাশীধামে স্বামী বিবেকানন্দ পূর্বের শ্রোতা যে অন্তর্হিত হইয়া স্থানে এক দিগ্বিজয়ী- পুৰুষ রূপ ধারণ করিয়াছেন, তাহা ডাক্তারের তখনও বােধগম্য হয় নাই। সহসা ঝটিকার ন্যায় স্বামিজীর মুখ হইতে বাণী নিঃসৃত হইতে লাগিল। গম্ভীর স্তব্ধায়মান, আজ্ঞাপ্রদ অর তাহার মুখ হইতে বহির্গত হইতে লাগিল। তিনি যে জগৎকে তৃণজ্ঞান করেন এবং পদতলে মেদিনীকে নিষ্পেষণ করিতে পারেন, সেই ভাব তাহার ফুটিয়া উঠিল। সম্পূর্ণ অপর এক নূতন পুরুষ পূর্বদেহের ভিতর প্রবেশ করিল। তিনি স্তব্ধায়মান শব্দে ডাক্তারকে বলিতে লাগিলেন, “বিদেশীয়েরা এদেশের সব বিষয়ে গুরু হইয়াছে, অবশিষ্ট বাকী আছে এক ধর্ম, তাহাতেও তাহারা হাত দিতে আসিতেছে, আর তােমরা অবনতমস্তকে বিদেশীয়কে গুকর আসনে বসাইয়া গুরু বলিয়া সম্মান করিতেছ। এই পুণ্য ভারতভূমিতে মহাপুরুষগণ কি একেবারেই অন্তহিত হইয়াছেন যে, বিদেশ হইতে গুরু আনাইয়া লইতে হইবে। ইহা কি গৌরবের না হীনতার কথা ? আমি এখানে অভিনন্দন দিতে বা কোন প্রকার গােলমাল করিতে সকলকে বারণ করিয়াছি। শরীর অসুস্থ, নিরিবিলি থাকিব ; সেই জন্যই চুপচাপ বসে আছি।” ক্রমেই তাহার স্বর আবও গম্ভীর হইতে লাগিল, মুখে ওজস্বিতা ফুটি উঠিতে লাগিল। আরক্তিম বিস্ফারিত নেত্রে ডাক্তারের দিকে নিরীক্ষণ করিয়া স্থির, দৃঢ়, গম্ভীর স্বরে বলিলেন, “যদি ইচ্ছা করি তাহলে এই রাত্রেই বেসান্ট ও সমগ্র কাশীবাসীরা এই চরণতলে আসিয়া