পাতা:কাশীধামে স্বামী বিবেকানন্দ - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাশীধামে স্বামী বিবেকানন্দ আমরা দূরে কথাবাত। ইংরাজীতে হইতে লাগিল। বসিয়াছি। প্রত্যেক শব্দ শুনিতে পাইলাম না এবং বয়স অল্প- বশতঃ বিদেশীয় ভাষার সকল কথা বােধগম্য হইল না। কিন্তু আকার, ইঙ্গিত ও ভাবভঙ্গিতে যাহা হৃদয়ঙ্গম হইয়াছিল তাহাই এস্থলে বিবৃত করিতেছি। স্বামিজী প্রথম শুইয়া কথাবার্তা বলিতেছিলেন। ক্রমেই ভাবরাশি ঘনীভূত হইতে লাগিল। শৰীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের চাঞ্চল্য লক্ষিত হইল। শরীর দুর্বল থাকিলেও তিনি হঠাৎ সুস্থ ব্যক্তির ন্যায় উঠিযা বসিলেন এবং কথাবার্তা অপেক্ষাকৃত কিঞ্চিৎ দৃঢ়ভাবে কহিতে লাগিলেন। ক্রমে অধিকতর ভাবরাশি আসিয়া হাতে প্রবেশ করিল। তিনি কিঞ্চিৎ উত্তেজিত হইলেন। চক্ষুদ্বয় বিস্ফারিত হইল, ওষ্ঠ কুঞ্চিত, কম্পমান ও দার্ট-ৰূপ ধারণ করিল। ললাট কিঞ্চিৎ কুঞ্চিত তবু প্রশস্ত, নাসিকা হ্রস্ব বা অবজ্ঞাব্যঞ্জক সমা ও কুঞ্চন-ভাব ধারণ করিল , মুখ আরক্তিম হইল। শব্দ ক্রমে মধুর ও শ্লথ অবস্থা হইতে খরতর ও উচ্চভাব ধারণ করিল। ক্রমিক তাঁহার সুষুপ্ত তেজস্বীভাব স্পষ্টভাবে প্রকাশিত হইল। রুগ্ন, অসুস্থ ও কাতর ব্যক্তি যিনি শুইয়া- ছিলেন এবং শােকার্ত ও মৃদুভাবে যিনি ইতিপূর্বে বাক্যালাপ করিতেছিলেন, সেই ব্যক্তি, সেই অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, সেই সকল ভাব একেবারে বিদূরিত হইয়া গেল এবং তৎস্থানে মহা তেজস্বীভাব, সুস্থ শরীর ও তেজস্বীবাণী আসিয়া প্রকাশ