পাতা:কাশীধামে স্বামী বিবেকানন্দ - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪২ কাশীধামে স্বামী বিবেকানন্দ পাইল। স্বতন্ত্র ব্যক্তি, স্বতন্ত্র বর্ণ-উচ্চারণ, স্বতন্ত্র নেত্রের দৃষ্টি। ভাবাবেশে দেহ সম্পূর্ণ পরিবর্তন করিতে আমরা স্বামিজীকে বহুবার দেখিয়াছি, এইজন্য আমাদের নিকট ইহা তত নূতন ও কৌতূহলের বিষয় বলিয়া মনে হইল না। কিন্তু যাহারা তাহার প্রথম বা দ্বিতীয়বারের ভাবাবস্থা দেখিয়াছেন, তাঁহার তখন চমকিত ও ত্রস্ত হইয়াছেন। কেলকার মহাশয় স্বামিজীকে এরূপ সহসা দেহ পরিবর্তন ও স্বতন্ত্র ব্যক্তিত্ব ধারণ কবিতে দেখিয়া বিমােহিত ও কিঞ্চিৎ পরিমাণে উন্মনা হইছিলেন- তাহা তাঁহার মুখভঙ্গিতে আমরা স্পষ্ট বুঝিতে পাবিলাম। স্বামিজীব অন্তর্নিহিত শক্তি যেরূপ উধ্ব মাত্রায় উঠিতে লাগিল, কেলকার মহাশয়েরও শক্তি তদ্রুপ নূন হইতে লাগিল। যেন, “প্রভাতকল্পা শিনেব শর্বরী”* অর্থাৎ ঊষাব পূর্বে চন্দ্র যেৰূপ হীনজ্যোতি হইয়া যায়, কেলকার মহাশযও তদ্রুপ হইলেন। স্বামিজী ক্রমে ধীরে ধীরে ভাৰতবর্ষের বিষয় নানা কথা কহিতে লাগিলেন। রাজনৈতিক, সমাজসংস্কার প্রভৃতি নানা বিষযের কথা হইল। স্বামিজী ক্ৰমে ব্যথিত, বিমনায়মান, দুঃখিত ও শােকার্ত হইয়া পড়িলেন। তাঁহার চক্ষুতে বিষাদ, শােক, দয়া এবং সর্বজীবের প্রতি প্রেম লক্ষিত হইতে লাগিল। তিনি কখন খেদোক্তি করিয়া কখন বা ম্রিয়মাণ- ভাবে কখন বা ক্রোধ প্রকাশ করিয়া কহিতে লাগিলেন, বঘু, ৩য় সর্গ, শ্লোক ২