পাতা:কাশীধামে স্বামী বিবেকানন্দ - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাশীধামে স্বামী বিবেকানন্দ ভাবে উল্লেখ করিযাছিলেন। ভারতে ফিরিয়া আসিয়া তিনি দেখিলেন যে, সেই পূর্বাবস্থা ও পূর্বভাব বর্তমান রহিয়াছে ; ইহা অধিকতর কষ্টকর বলিয়া তাঁহার সম্মুখে প্রতীয়মান হইতে লাগিল। তাঁহার মন দুঃখী, দরিদ্র ও ক্লিষ্টের নিমিত্ত সর্বদা চঞ্চল থাকিত। আনন্দের ভিতর শােক, হর্ষের ভিতর বিষাদ সর্বদাই তাঁহার মুখে পরিলক্ষিত হইত। কি উপায়ে এই দুঃখ- রাশির প্রতিকার করা যাইবে, এই চিন্তায় তিনি মগ্ন হইয়া থাকিতেন। শশাকে আঁহার হৃদয় উথলিত হইয়া চক্ষু হইতে অশ্রুধারা বিগলিত হইত। বহুকাল হইতে মহাপুরুষেরা এই বিষয় চিন্তা করিয়াছেন এবং স্ব স্ব কালােপযােগী প্রতিকারের উপায় নির্ধারণ করিয়া- ছিলেন। যদিও সকল মহাপুরুষের ভাবরাশির মর্ম একই হইয়া থাকে তথাপি কার্যদক্ষতা, সময়ােপযােগীতা ও কার্যপ্রণালী পৃথক হয়। বুদ্ধদেব বলিয়াছিলেন, “বহুজনহিতায়, বহুজন- সুখায়” এই ভাব লইয়া ভিক্ষুগণ সর্বত্র বিচরণ করিবেন। সরল ভাষায়, “জীবে দযা এইমাত্র জানি”। প্রত্যেক জীবকে দয়া করিবে। “পানাতিপাতাবেরমণি শিক্ষাপদ সমাদিয়ামি” প্রাণীবধ হইতে বিরত হইলাম—আমি এই প্রতিজ্ঞা, এই শিক্ষা গ্রহণ করিলাম। ইহাই বুদ্ধদেবের পঞ্চশীলার প্রথম মন্ত্র এবং আর চারিটি শীলাও তদ্রুপ। এঈ শান্তিভাব অবলম্বন করিয়া, এই অহিংসাভাব গ্রহণ

  • সূত্রপিটক—সুত্রসংগ্রহ।