পাতা:কাশীধামে স্বামী বিবেকানন্দ - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাশীধামে স্বামী বিবেকানন্দ একীভূত ও সহরূপে প্রতীয়মান হয়। কোন্ ভাবটির কখন প্রাধান্য হইয়াছে তাহা বলা যায় না। কখন বা প্রথম লক্ষণটি ঘনীভূত হইতেছে, কখনও বা উহা যখন ভাবমূখী হয় ও ওজখীভাক ধারণ করে তখন দ্বিতীয় ভাবটি প্রকাশ পাইতেছে এরূপ বলা যায়। স্বামিজী এই যুগের পথ-প্রদর্শকরূপ এই নূতন মতটি সৃষ্টি করিলেন, “নারায়ণ জ্ঞানে জীবের সেবা”। “দরিদ্র নারায়ণ”- বহুরূপে সম্মুখে তােমার, ছাড়ি কোথা খুঁজিছ ঈশ্বর?” স্বামিজী যে কয়েকটি উচ্চ ভাব জগৎকে দিয়াছেন তাহার মধ্যে এইটি অন্যতম, হয়ত এইটি নূতন। . জীবে দয়া’ তিনি পছন্দ করিতেন । দয়া শব্দ উচ্চ-নীচ ভাব আনয়ন করে এবং আশ্রিত ও করুণাপ্রার্থী এরূপ ভাব পায়। স্বামিজী নূতন ভাব প্রকাশ করিলেন, দীনহীনকে শিব জ্ঞানে পূজা করা। ইহাতেই জগতের মহা কল্যাণ সাধিত হইবে। শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণদেব বলিতেন, “হাতী নারায়ণ, মাহত নারায়ণ, চোর নারায়ণ।” স্বামিজী সেই ভাবটি স্পষ্ট করিয়া সাধারণের উপযােগ করিলেন। দরিদ্র নারায়ণের পূজা, ইহাই পরম সৌভাগ্যের বিষয়। সমাজ-সংস্কার, শিক্ষা-সংস্কার, বাণিজ্যব্যবসা-সংস্কার ও জাতির ভিতর পরস্পর সখ্যভাব স্থাপন করা—এইরূপ বহুপ্রকার সংস্কারের ভাব লইয়া নানা ব্যক্তি চিন্তা করিতেছেন। কার্য ও সমস্ত ভাবগুলিই সত্য এবং খণ্ড খণ্ড রূপে প্রত্যেকটি ফলদায়ক। স্বামিজী কিন্তু একটি শব্দদ্বারা সব ভাবগুলিই