পাতা:কাশীধামে স্বামী বিবেকানন্দ - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ কাশীধামে স্বামী বিবেকানন্দ জনৈক মহাপুরুষ এক সময় প্রাঙ্গণে বসিয়া আছেন এমন সময়ে এক পােষ টিয়া পাখী উড়িয়া আসিয়া সেই মহাপুরুষের মন্তকে এবং স্কন্ধে বিচরণ করিতে লাগিল। মুহূর্ত মধ্যে আবার সে উড়িয়া বৃক্ষে বসিল। আবার মহাপুরুষের স্কন্ধে আসিয়া বসিল। এইরূপে সেই পক্ষী নানাপ্রকার ক্রীড়া করিতে লাগিল। সেই মহাত্মা তাহার ঐ ক্রিয়া দেখিয়া চক্ষু স্থির, নিমীলিত করিয়া চাহিয়া রহিলেন—যেন কি ভাবিতেছেন। অনেক পরিমাণে বাহজ্ঞান হ্রাস হইয়াছে। মুখ আনন্দে পরিপূর্ণ, যেন কোন নূতন বস্তু দেখিতেছেন ও উপলব্ধি করিতেছেন। সহসা তিনি জনৈকের প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করিয়া বলিলেন, “দেখ ভাই, টিয়া পাখীকে খাওয়ান, গরুর জাব কাটা, গােয়ালঘর পরিষ্কার করা, কুটনো কোটা, বাসন মাজা, ঠাকুর- ঘরের মেঝে পোঁছা, ঠাকুর পূজা করা আর জপধ্যান করা সবই দেখছি ভাই এক। সব এক-এক। এক !! এক ॥ কোনটা বড়, কোনটা ছােট নয়। তাই আমি অবাক হয়ে এখানে বৃষ্টির মাঝে জ্বরগায়ে বসে আছি। আমি কিছু বুঝতে পারছি না। কি দেখছি আমি নিজেই বুঝতে পারছি না।” ইহাকেই বলে কর্ম, ভক্তি, জ্ঞান সবই এক। ইহাকেই বলে কর্ম থেকে ব্ৰহ্ম দর্শন। এই তেজস্বী মহাভাবের কাছে অপর সকল ভাব হীনপ্রভ হইয়া যায়। প্রাণের ভিতর ব্রহ্মশক্তি জাগরিত হইলে, হৃদয়ের কাট উদঘাটিত হইয়া প্রাণ যেন সকল জীবের প্রতি তরঙ্গায়মান