পাতা:কাশীধামে স্বামী বিবেকানন্দ - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাধামে স্বামী বিবেকানন্দ করিতে যাইলে কার্যতৎপরতা ও সংঘটনশক্তি পরিবর্ধিত হয়। এই সংঘটন-শক্তিই জাতিগঠন করিয়া থাকে, এবং পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা, ভক্তি ও প্রেম উদ্ভূত করিয়া দেয়। দেবভাব উদ্ভূত না হইলে মানুষের মনুষ্যত্ব আসে না এবং জাতির জাতীয়ত্ব হয় না। দেবভাব অপরকে দেখাইতে গেলে শক্তি প্রকাশমুখি করিতে হয়, ক্রিয়া তাহার প্রধান অবলম্বনীয় এবং সেবা ভিন্ন ক্রিয়া হওয়া সুকঠিন। এইজন্য স্বামিজী কেবলই বলিতেন,জীবসেবা এই যুগের প্রধান সহায়। নিরাশ্রয়দিগকে আশ্রয় দিবে, শােকার্তদিগকে সান্ত্বনা দিবে। এবং সুষুপ্ত দেৰভাব তাহাদিগের ভিতর জাগ্রত করিয়া দিবে। ইহাই হইতেছে দেশের কল্যণকর পন্থা। ভগবান ঈশাও বলিয়াছিলেন, যিনি সকলের সেবক (minister) তিনিই সকলের শ্রেষ্ঠ হইবেন। স্বামিজী নানাস্থানে এই বাণী পুনঃ পুনঃ কহিয়াছেন,আমি ব্ৰহ্মতে লীন,ব্ৰহ্ম আমাতে লীন হও। কর্মই ব্ৰহ্ম, ব্ৰহ্মই কর্ম। কর্ম দ্বারাই ব্ৰহ্ম পাওয়া যায়। স্বামিজী কাশীধামে আসিবার তিন বৎসর পূর্বে চারু বাবু প্রমুখ আমরা একটি সমিতি গঠন করিয়াছিলাম। ঠাকুর ও স্বামিজীর গ্রন্থাদি পাঠ, তদ্বিষয় আলােচনা ও কর্মযােগের উপর বিশেষ মন রাখিয়া কিরূপে কার্য চালাইতে পারা যায় এ বিষয়ে আমরা বিশেষ লক্ষ্য রাখিতাম। আমরা কয়েকটি যুবক মিলিত হইয়া ধ্যান, ভজন, সৎচেষ্টা, সৎপ্রসঙ্গ এবং সেবা