পাতা:কাশীধামে স্বামী বিবেকানন্দ - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাধামে স্বামী বিবেকানন্দ যে, এরূপ যােগৈশ্বর্য সাধারণ জীবে সম্ভব নয়। কেবলমাত্র স্বয়ং শঙ্করেই এরূপ বিভূতি থাকা সম্ভব এবং স্বামিজী স্বয়ং শঙ্করাবতার। ক্রমে পণ্ডিতমণ্ডলীর নিকট পণ্ডিত শিবানন্দ মহাশয় তর্কযুক্তিতে এবং স্বামিজীর জীবনী হইতে ঘটনা নিদর্শন করাইয়া পণ্ডিতসমাজে স্বামিজীকে মহাযােগী শঙ্করাবতার, ইহা প্রতিপন্ন ও সকলকে অনুমােদন করাইতে লাগিলেন। পণ্ডিতমহাশয় প্রাচীনতম অধ্যাপক, শাস্ত্রজ্ঞানও তাঁহার সবিশেষ ছিল, নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মণ, সাধক ও উদারচেতা ছিলেন, কিন্তু স্বামিজীর প্রতি এরূপ আকৃষ্ট হইয়াছিলন যে, উভয়ের মধ্যে বিশেষ সখ্যভাব স্থাপিত হইয়াছিল। পণ্ডিত- মহাশয় কাশীধাম ত্যাগ করিয়া স্থানান্তরে যাইবেন না এরূপ সঙ্কল্প করিয়াছিলেন, কিন্তু স্বামিজীকে দেখিবার জন্য তাঁহার বিশেষ আগ্রহ ছিল, সেইজন্য তিনি বলিতেন যে, স্বামিজী কৃপা করিবার জন্যই এখানে আসিয়াছিলেন। আর একদিন দিবা দ্বিপ্রহরে পণ্ডিতমহাশয় আসিয়া রামপুরার সেবাশ্রমে উপস্থিত হইলেন এবং কিছুক্ষণ অবস্থানের পর আমাকে কহিলেন, “দেখ, গতকল্য রাত্রে একটি বিশেষ ঘটনা ঘটিয়াছে তাহাতে আমার সমস্ত সন্দেহ ভঞ্জন হইয়াছে, এই পর্যন্ত বলিয়াই তিনি নীরব রহিলেন। আমি ঘটনাটি জানিতে কৌতূহলী হইয়া পুনঃপুনঃ অনুরােধ করায় তিনি অবশেষে বলিতে লাগিলেন এবং আমাকে আদেশ করিলেন যে, “একথা কাহাকেও বলিবে না, ইহা অতি গােপনে রাখিবে।”