পাতা:কাশীধামে স্বামী বিবেকানন্দ - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৮২
কাশীধামে স্বামী বিবেকানন্দ
৮২

কাবখামে স্বামী বিবেকানন্দ অন্তরায় মনের গতি রােধ করিতে পারে না, দূরত্ব বলিয়া কোন জিনিষ থাকে না, সব এক হইয়া যায়, ইহাকে বলে, “দূরাৎ দর্শন, দূরাৎ শ্রবণ, দূরাৎ স্রাণম্।” সেই সময়ে রাজযােগের বক্তৃতা হইতেছিল। রাজযােগ সাধন করিলে লােকের এইরূপ অষ্টসিদ্ধি যে আপনিই আসিয়া যায়, স্বামিজী সেইটি তাহাদিগকে বুঝাইলেন এবং বিশেষ করিয়া নিষেধ করিয়া দিলেন যে, মানুষ যেন এইরূপ অষ্টসিদ্ধিতে মুগ্ধ না হয়, তাহা হইলে উচ্চাবস্থা প্রাপ্ত হওয়া সুকঠিন। এই অষ্ট সিদ্ধিকে ত্যাগ করা চাই। স্বামী সারদানন্দ তখন লণ্ডনে ছিলেন। একদিন তিনি ব্ৰস্তু ও ভীত হইয়া স্বামিজীর চরণযুগল ধরিয়া নানা বিষয় প্রার্থনা করিতে লাগিলেন। স্বামিজী আজ্ঞামাত্র ইচ্ছাশক্তিতে সঁহার দেড় বৎসরের ম্যালেরিয়া জ্বর আরাম করিয়াছিলেন। স্বামী সারদানন্দ আশ্চর্যান্বিত হইয়া বুঝিলেন যে, তাহার পূর্বপরিচিত নরেন আর নাই, স্বামী বিবেকানন্দ স্বতন্ত্র ব্যক্তি। স্বামিজীর এইরূপ বিভূতির বিষয় বহু উল্লেখ করিতে পারা যায় এবং এখনও অনেক ব্যক্তি জীবিত আছেন যাঁহারা এই সকল বিষয় স্বচক্ষে দেখিয়াছেন। কালিদাস মিত্র চিত্র ও কলাবিদ্যা লইয়া চর্চা করিতেন এবং তদ্বিষয়ে তাঁহার বিশেষ অনুরাগও ছিল। মিত্র মহাশয় গৃহে প্রবেশ করিয়া আসন গ্রহণ করিলে মিত্র মহাশয়ের অত্যন্তরীণ ভাবগুলি যেন স্বামিজীর দেহকে স্পর্শ করিতে