পাতা:কাশীধামে স্বামী বিবেকানন্দ - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৮৩
কাশীধামে স্বামী বিবেকানন্দ
৮৩

কাশীধামে স্বামী বিবেকানন্দ লাগিল। তৎসঙ্গে স্বামিজীর মুখভঙ্গি, কণ্ঠস্বর ও ভাবশি সম্পূর্ণ পরিবর্তিত হইল। স্বামিজী যেন একজন চিত্রকর, কলাবিদ্যা লইয়াই সর্বদা চর্চা করেন এইরূপ ভাবে পরিবর্তিত হইলেন। মিত্র মহাশয়ের দিকে চাহিয়া তিনি চিত্র, আলেখ্য প্রাকৃতিক চিত্রের বিষয় পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে বলিতে লাগিলেন, বিরাম নাই, শ্রান্তি নাই। চিত্রকর যেন শিল্প-সভায় গিয়া চিত্রের বিষয লেকচার দিতেছেন, এবং চিত্রই যেন তাহার একমাত্র জ্ঞেয় ও ধ্যেয় বস্তু এবং তিনি যেন সমস্ত জীবন- ব্যাপী চিত্র লইয়া আলােচনা করিয়াছেন। বর্ণসংযােগ, বর্ণের তারতম্য, সৌষ্ঠব, অধিষ্ঠান, নেত্রাদির বহুপ্রকার দৃষ্টি, কটিদেশ ও বক্ষঃস্থল এবং বক্রভাবে বা অন্য ভাবে দাড়াইলে যে নানারকম ভাবব্যঞ্জক হয তদ্বিষয়ে তিনি বহু- প্রকার কহিতে লাগিলেন। আমরা বালক ও অল্পবুদ্ধিবশতঃ সমস্ত বিষয়টি তন্ন তন্ন করিয়া বুঝিতে পারিলাম না। কিন্তু ইহা যে এক চিত্রবিদ্যার আশ্চর্য বক্তৃত হইযাছিল, তাহা আজ হৃদয়ঙ্গম করিতে পারিতেছি। তাহার পর তিনি ইটালি, ফ্রান্স, চীন, জাপান ও ভারতের বৌদ্ধযুগের, মােগল পারস্য প্রভৃতি নানা সময়ের ও নানা দেশের চিত্রের সমালােচনা করিতে লাগিলেন। আমরা কেবলমাত্র আনন্দ অনুভব করিতে লাগিলাম; কিন্তু এরূপ গুরুতর বিষয়টির বিশেষ কোন অনুধ্যান করিতে পারিলাম না। স্বামিজী একবার ফ্রান্সের এক প্রসিদ্ধ রঙ্গালয়ে নিমন্ত্রিত