পাতা:কাশীধামে স্বামী বিবেকানন্দ - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৯০
কাশীধামে স্বামী বিবেকানন্দ
৯০

কাশীধামে স্বামী বিবেকানন্দ হওয়া, ৰিত্ৰাসিত হইয়া পলায়ন করিলে তাহাদিগের প্রতি প্রধান ও সংঘর্ষণ কি করিয়া করিতে হয়--এইরূপ নানাপ্রকার বিভিন্ন যুদ্ধপ্রণালীতে তিনি সৈনিকদিগকে পরিচালিত করিতেছেন। আবর্তন, পরিমিত পদবিক্ষেপে অগ্রসর বিধ্বস্ত সৈনিকগণকে সমন্বিত করা, সাদি বা অশ্বারােহীগণকে আক্রমণ করিতে উত্তেজিত করা এবং ইম্পিরিয়াল গার্ডকে (Imperial Guard) সংঘটন করিয়া নির্মমভাবে শত্ৰুদিগকে প্রহার করা—তিনি অঙ্গুলিনির্দেশ করিযা রণক্ষেত্রে অশ্বপৃষ্ঠে অবস্থান করিয়া যেন আজ্ঞা করিতেছেন, “দূরে-দূর-শত্রু পলাই- তেছে তথায় তথাষ অগ্রসর হও, পলায়নপথ রুদ্ধ কর । অশ্রান্ত নবমূ, অগ্রসর হও; পূর্বগত সৈনিকদিগকে সংরক্ষণ কর”, এইরূপ নানাপ্রকার মুখভঙ্গি করিয়া অঙ্গুলিনির্দেশ ও অধ উল্লস্ফিত হইয়া যেন নিজে রণক্ষেত্রে সৈনিকদিগকে পরিচালিত করিতেছেন। মাঝে মাঝে ফরাসী ভাষায় রণসঙ্গীত গাহিতেছেন। সৈনিকেরা যেন উৎসাহিত হইযা পুনৰুদ্দীপ্ত শক্তিতে শত্রুগণের প্রতি প্রতিধাবিত হইতেছে ও আক্রমণ করিতেছে। বন্দুক-অগ্রে সঙ্গীন সন্নিবেশিত করিতেছে ; শত্রু- দিগের উরংস্থান বিদ্ধ করিয়া বহু আয়াসে স্থানটি অধিকার করি- তেছে। সেনানীসকল ইতস্ততঃ দ্রুতগতিতে ধাবমান হইতেছে, এবং স্বামিজী মহাসেন হইয়া প্রশস্ত রণক্ষেত্রের চতুর্দিকে দৃষ্টিনিক্ষেপ ও পর্যবেক্ষণ করিতেছেন। রণজয়ী হইল, রণ- জয়ী হইল।” এইরূপ ভাবে তিনি মহা উল্লসিত হইলেন।