পাতা:কাশীধামে স্বামী বিবেকানন্দ - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৯৭
কাশীধামে স্বামী বিবেকানন্দ
৯৭

কাধামে স্বামী বিবেকানন্দ একটি বস্তু পরিলক্ষিত হইত,-মাধুর্য। “প্রেম, প্রেম এইমাত্র জানি”, এই ভাবটি তঁাহার সামান্য কার্যেতেও প্রকাশ পাইত। বেলুড়মঠে মৃত্তিকা দিয়া সমতল করিবার সময় যে সকল থাড় আসিয়াছিল, তাহারাও মুগ্ধ হইয়া স্বামিজীর কাছে বসিয়া থাকিত আর বলিত, “হারে, তাের কাছে গিলে হামরা সব কাজ ভুলে যাই, তাের মিঠে বুলি শুনলে হামরা কাজ করতে পারি না, তাহলে ঐ বুড়ােটা (জনৈকের প্রতি নির্দেশ করিয়া আমাদের রােজ দিবে না।” আমরাও যখন অল্প বয়সে স্বামিজীকে দর্শন করিতে যাই, তখন জ্ঞান, ভক্তি, ধ্যান, কর্ম এসব বিষয় কিছুই বুঝিতাম না; বালক বালকের স্বভাব। কিন্তু স্বামিজীর ভালবাসা স্বতন্ত্র জিনিষ ছিল, তাহা মানুষের ভালবাসা নয়—অন্য জগতের ভালবাসা ; তার কাছে অন্য ভালবাসা ফিকে হয়ে যায়। সেই ভালবাসার জন্যই আমরা ভঁহার কাছে যাইতাম। স্বামিজীকে যাহারা দেখিয়াছেন তাঁহারা সকলেই বলিবেন যে, জীবনে এমন একটা লােক দেখিয়াছি যিনি ভালবাস্তিতে জানেন, এবং যিনি শুধু ভালবাসাই শিখাইতে এ জগতে আসিয়াছিলেন। এই ভালবাসার জন্য কত যুবক গৃহত্যাগ করিয়া সন্ন্যাসী হইতেছে, একটি ধাড়কে বাঁচাইতে যাইয়া নিজের প্রাণ উপেক্ষা করিতেছে, দেশে দেশে ঠাকুর স্বামিজীর কথা প্রচার করিতেছে। প্রেমই সাধনা, প্রেমই তপস্যা, প্রেমই ভগবান। ভগবানের কাছে এই প্রার্থনা, সমস্ত দেবতাদিগের নিকট