পাতা:কাশীনাথ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাশীনাথ Str প্ৰস্থান করিল। সে চলিয়া যাইলে চন্দ্ৰবাবু বলিলেন, কাহে নেহি পাকড়া ? দ্বারবান চুপ করিয়া রহিল। একজন মালী ললিতকে বিলক্ষণ চিনিত, সে বলিল, ও বেটা ভোজপুরীর সাধ্য কি, ললিতবাবুকে ধরে ? ওর মত চারটে দরওয়ানের মাথা ওর এক ঘুসিতে ভেঙ্গে যায়। দ্বারবান ও তাহা অস্বীকার করিল না, বলিল, বাবু নোকরি করনে আয়া, না জান দেনে আয় ? চন্দ্ৰবাবু, কিন্তু ছাড়িবার পাত্র নহেন। তিনি ললিতের উপর পূর্ব হইতে বিলক্ষণ চটা ছিলেন, এখন সময় পাইয়া, সাক্ষী জুটাইয়া অনধিকার প্রবেশ এবং আরও কত কি অপরাধে আদালতে নালিশ করিলেন । জগবন্ধুবাবু ও তঁহার স্ত্রী উভয়েই এ মকদ্দমা করিতে নিষেধ করিলেন ; কিন্তু চন্দ্ৰনাথ কিছুতেই শুনিলেন না। বিশেষ মৰ্ম্মপীড়িতা অনুপমা জিদ করিয়া বলিল যে, পাপীকে শাস্তি না দিলে তাহার মন কিছুতেই সুস্থির হইবে না । ইনস্পেক্টর বাটীতে আসিয়া অনুপমার এজাহার লইল। অনুপমা সমস্তই ঠিকঠাক বলিল ; শেষে এমন দাড়াইল যে ললিতের জননী বিস্তর অর্থব্যয় করিয়াও পুত্ৰকে কিছুতেই বঁাচাইতে পারিলেন না ! তিন বৎসর ললিত-মোহনের সশ্রম কারাবাসের আদেশ হইয়া গেল । 攀 叠 皋 বি-এ পরীক্ষার ফল বাহির হইয়াছে। সুরেশচন্দ্র মজুমদার একেবারে প্রথম হইয়াছেন । গ্ৰামময় সুখ্যাতির একটা রৈ াৈর শব্দ পড়িয়া গিয়াছে। অনুপমার জননীর আনন্দের সীমা নাই। আনন্দে সুরেশের জননীকে গিয়া বলিলেন, নিজের কথা নিজে বলতে নেই, কিন্তু দেখ দেখি একবার আমার মেয়ের পায় { সুরেশের মা সহস্যে বলিলেন, তা ত দেখছি । একবার বিয়ে হোক, তার পর দেখিস-তোর ছেলে রাজা হবে । অনু যখন জন্মায়, তখন একজন গণৎকার এসে গুণে বলেছিল যে এ ময়ে রাণী হবে । অত সুখে কেউ কখনও থাকে নি, থাকবে না ; যত সুখ তোমার মেয়ের হবে ।