পাতা:কাশীনাথ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o জ্ঞানে, অজ্ঞানে, তন্দ্ৰায় আচ্ছন্নের মত কমলার দুই দিন কাটিয়া BBD S S BDDBD S SYYS SDDBDBBD DDDD DDD BBBD SDDDS S YBB তঁহার উপদেশে অত্যন্ত সতর্কভাবে তাহাকে সকলে ঘিরিয়া বসিয়াছিল। আজ দুই দিন অবিশ্রাম চেষ্টা-শুশ্রুষায় সন্ধান্স পর তাহাকে সচেতন করিয়া উঠাইয়া বসাইল । ভাল করিয়া চোখ চাহিয়া কমলা দেখিল, যে মৃতক্ষণ তাহার মাথা কোলে করিয়া বসিয়াছিল, সে সম্পূর্ণ অপরিচিত। জিজ্ঞাসা করিল, তুমি কে ? অপরিচিত কহিল, আমি বিন্দু, তোমার স্বামীর ভগিনী। কমলা বহুক্ষণ পৰ্য্যন্ত নীরবে তাহার মুখের পানে চাহিয়া রহিয়া তাহার পর হাত নাড়িয়া ঘরের সমস্ত লোককে বাহির করিয়া দিয়া, ধীরে ধীরে কহিল, আমি কতক্ষণ এমন অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছি ঠাকুরঝি ? বিন্দু কহিল, পরশু সকালে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলে বো, এর মধ্যে আর ত তোমার হুস হয় নি । পরশু ! কমলা একবার চমকাইয়া উঠিয়াই স্থির হইল। তাহার পরে মাথা হেঁট করিয়া স্তব্ধ হইয়া বসিয়া রহিল। অনেকক্ষণ পৰ্য্যন্ত তাহার কোন প্রকার সাড়া না পাইয়া বিন্দু শঙ্কিত-চিত্তে তাহার ডান হাতখানি নিজের হাতের মধ্যে টানিয়া লইয়া ডাকিল, বৌ। কমলা মুখ তুলিল না, কিন্তু সে সাড়া দিল। কহিল, ভয় ক’র না ঠাকুরবি, আমি আর অজ্ঞান হব না ! সে যে অন্তরের মধ্যে আপনাকে সচেতন করিয়া তুলিবার জন্য নিঃশব্দে প্ৰাণপণ চেষ্টা চরিতেছে, বিন্দু তাহা বুঝিল! তাই সেও ধৈৰ্য্য ধরিয়া মৌন হইয়া রহিল। আরও কিছুক্ষণ এভাবে বসিয়া থাকিয়া কমলা কথা কহিল ; বলিল, তুমি যে আমাকে নিয়ে এই দুদিন ব’সে আছ ঠাকুরবি, আমার সেবা করতে কি ক’রে তোমার প্রবৃত্তি হ’ল ? আমি নিজে ত কখন এমন করতে পারতাম না । \