পাতা:কাশীনাথ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"कौमय " - আমার ক্ষতি আমার চেয়ে ডাক্তার বেশী বোঝে না। ঠাকুরবি, আমি তার কাছেই চললুম ; ঘুম ভেঙ্গে আবার যদি জানতে চান আমাকে ত তার জবাব দিতে হবে ? বলিয়া কমলা বিন্দুর হাতটা হাতের মধ্যে লইয়া বিনীত-কণ্ঠে কহিল, আমি মাথা সোজা রেখে চলতে পারব না বোন, আমাকে দয়া ক’বে একবার তঁর কাছে দিয়ে এসে ঠাকুরবি । মনে মনে কহিল, ভগবান, হাতের নোয়া যদি এখনো বজায় রেখেচ ঠাকুর, তা হ’লে সত্যি মিথ্যের বিচার ক’রে আর তা কেড়ে নিয়ো না । দণ্ড আমার গেছে কোথায়--- সে ত সমস্তই তোলা রইল । শুধু এই ক’র প্রভু, তোমার সমস্ত কঠিন শাস্তি যাতে হাসি-মুখে মাথায় তুলে নিতে পারি, আমার সেই পথটুকু ঘুচিয়ে দিয়ে না। স্বামীর ঘরে ঢুকিয়া কমলা কিছুতেই আপনাকে স্থির রাখিতে পারিল না। তাহার দুই দিনের টপবাসিক্ষীণ দেহ ও ততোধিক দুর্বল মস্তিক ঘুরিয়া স্বামীর পদতলে পড়িয়া গেল। কাশীনাথ জাগিয়াছিল, কে একজন তাহার পায়ের কাছে বিছানার উপর পড়িল, তাহা সে টের পাইল, কিন্তু ঘাড় তুলিয়া দেখি ধার সাধ্য ছিল না। তাই জিজ্ঞাসা করিল, কে বিন্দু ? বিন্দু বলিল, না দাদা, বৌ। কমলা ? তুমি এখানে কেন ? বিন্দু জবাব দিল। শিয়রে বসিয়া মৃদু কণ্ঠে কহিল, সামলাতে না পেরে মাথা ঘুরে পড়ে গেছে দাদা। কাশীনাথ চুপ করিয়া রহিল, বিন্দু পুনরায় কহিল, আজি রাত্রে আসতে আমি মানা করেছিলাম। আমি নিশ্চয় জানতাম দুদিনের পরে এইমাত্র যার জ্ঞান হয়েছে, সে কিছুতেই এ ঘরে ঢুকে নিজেকে সামলে রাখতে পারে না। t স্বামীর দুই পায়ের মধ্যে মুখ লুকাইয়া কমলা নীরবে: প্রয়োছিল, তাহার অবিচ্ছিন্ন তপ্ত অশ্রুর ধারা কাশীনাথ আপনার শীতল পায়ের উপরে অনুভব করিতেছিল, তাই মধেীরে कश्लि, হাঁ বোন, না এলেই তার ভাল ছিল।