পাতা:কাশীনাথ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৮৭

tr বোকা রান্ত্রি দশটার অধিক না পড়িবার জন্য সরলা বিশেষ কবিয়া মাথার দিব্য দিয়া দিল । কি একটা উদাস-পারা প্ৰাণ লইয়া সত্যেন্দ্ৰ সেইদিন কলিকাতায় পৌছিল। সত্যেন্দ্ৰ একখানা পুস্তক লইয়া বসিয়াছিল। পুস্তকের পৃষ্ঠার সহিত মনের একটা বিষম দ্বন্দ্ব-যুদ্ধ চলিয়াছিল। সত্যেন্দ্ৰ গণিয়া দেখিল, সমস্ত দিনে মোটে ছাবিবশ লাইন পড়া হইয়াছে । দুঃখিত ভাবে সে ভাবিল, বাঃ ! এই রকম পড়লেই পাশ হব। ক্ৰমে দুঃখ ঈষৎ ক্ৰোধে পরিণত হইল। সে ভাবিল, সমস্ত পোড়ামুখী সরোর দোষ। এই পাঁচদিন, এসেছি একটুকুও পড়তে পারি নি। আগে মনে হ’ত পড়ার সময় বিরক্ত করে, দশটার বেশি পড়তে গেলেই আলো নিভিয়ে দেয়, একে কোথাও পাঠিয়ে দিলে ভাল ক’রে পড়বো। কালই তাকে আনতে যাবো, না হ’লে লজ্জার খাতিরে কি ফেল হবো ? s যাহা হৌক, সতেন্দ্ৰনাথ এইরূপ একটা মতলব আঁটিতেছিলকি করিয়া আনাই। কেমন করিয়াই বা বলি ? লজ্জা করে। এত ভালই বা বাসিলাম কেমন করিয়া ? দুদিন-- একটা ভূত্য আসিয়া একখানা টেলিগ্ৰাম হাতে দিল, সত্যেন্দ্ৰ অতিশয় বিস্মিত হইল, আর ভাবিবার সময় নাই ; কোথাকার টেলিগ্ৰাম ? কভার খুলিতে সত্যুর হৃৎকম্প হইল। ভিতরে যাহা লেখা ছিল, তাহাতে মাথা একেবারে ঘুরিয়া গেল। সরলা পীড়িত। সেই দিনই হরদেববাবু সত্যেন্দ্ৰকে লইয়। দিলাজানপুর যাত্রা করিলেন । বাটীর সম্মুখে কামাখ্যাবাবুর সহিত সাক্ষাৎ হইল। হরদেববাবু চীৎকার করিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, মা কেমন ? কামাখ্যাবাবু কহিলেন, আসুন, ভিতরে চলুন। হরদেববাবু ভিতরে গিয়া দেখিলেন, সরলা বিস্মৃচিকা রোগে আক্রান্তা, একদিনে সরলাকে যেন আর চেনা যায় না ! চক্ষু বসিয়া SBDBSEBYYS BBD DiDBB DBD gDDB SS SDDDS