পাতা:কাশী-খন্ড - নিবারণচন্দ্র দাস.pdf/২৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SG) seNs [ खवि९भ अशांग নিপতিত হইয়া মৃত্যুলাভ করিল এবং সেই বিদ্যাধরীতনয়ও ত্ৰিশূলের আঘাতে বিকল হইয়া, ঘূর্ণিতালোচনে গদগদম্বরে “হে প্রিয়ে । আমি বৃথা তোমাকে হরণ করিয়া আনিলাম, হে সুশ” এই অৰ্দ্ধোক্ত কথা বলিতে বলিতেই সুশীলাকে স্মরণ করত, তাহার সম্মুখেই প্ৰাণ পরিত্যাগ করিলেন। ৮১-৮৭। সুশীলাও কখন কোন পুরুষের স্পৰ্শজনিত সুখ লাভ করেন নাই, এই প্ৰথমমাত্র তিনি বিদ্যাধরতনয়ের স্পর্শ সুখ বোধ করিয়াছেন, সুতরাং তঁহাকেই পতিবোধে, তাহার মৃত্যুতে আপনার জীবনও অগ্নিসাৎ করিলেন। জ্ঞানবাপীর জলপাননিবন্ধন সুশীলার দেহ মধ্যে তিনটী শিবলিঙ্গ অবস্থান করিতেন, সুতরাং তঁহার নিকটে মৃতু্যনিবন্ধন সেই রাক্ষস, দিব্যশরীর লাভ করিয়া স্বগে গমন করিল। রণে পরিত্যক্তজীবন সেই বিদ্যাধরীতনয়ও, অন্তিম কালে প্রিয়াকে স্মরণ করত, মলয়কেতুর ঔরসে পুনরায় জন্মগ্রহণ করিলেন। ৮৮-৯০ । সুশীলা ও সেই বিদ্যাধরতনয়ের বিরহে ভঁাহাকেই চিন্তা করত, প্ৰাণ পরিত্যাগ করিয়াছিলেন, সুতরাং তিনিও কর্ণাটদেশে জন্মগ্রহণ করিলেন। কালক্রমে মলয়কেতুর অনঙ্গের ন্যায় রূপবান সেই পুত্ৰ মাল্যকেতু, কলাবতী নাম্নী সেই কন্যাকে বিবাহ করিলেন । ৯১-৯২ । সেই কলাবতী জন্মান্তরের সংস্কারবলে শিবলিঙ্গের অৰ্চনায় রত থাকিয়া, চন্দন প্রভৃতি পরিত্যাগ করত, বহুমানপূর্বক ভস্মধারণেই গ্ৰীতিবোধ করিতেন এবং স্বভাবসুন্দরী সেই রমণী মুক্ত, বৈদুৰ্য্য, মাণিক্য ও পুস্পরাগ প্রভৃতি ধারণ করা অপেক্ষা রুদ্ৰাক্ষধারণই শ্রেষ্ঠ বলিয়া বোধ করিতেন। ৯৩-৯৪ । পতিব্ৰতা কলাবতী, মাল্যকেতুকে পতিরূপে প্ৰাপ্ত হইয়া, তাহার সহবাসে নানাবিধ উৎকৃষ্ট বিষয়ভোগসহকারে তিনটী অপত্য লাভ করিয়াছিলেন। একদা উত্তরদেশস্থ একজন চিত্রকর, নরেশ্বর মাল্যকেতুর নিকট আগমন করত, তঁহাকে একখানি বিচিত্র চিত্ৰপট প্ৰদান করিল। রাজা মাল্যকেতু, সেই চিত্ৰপটখানি স্বীয় মহিষী কলাবতীকে সমর্পণ করিলেন । কলাবতী সেই রমণীয় চিত্ৰপট দর্শনে অতিশয় আনন্দ লাভ করিলেন এবং বারম্বার চিত্ৰাপিত স্বীয় প্ৰাণদেবতা বিশ্বনাথকে দর্শন করিতে করিতে সমাধিস্থ যোগিনীর ন্যায় আপনাকেও বিস্মৃত হইলেন। অনন্তর ক্ষণমধ্যে নেত্ৰ উন্মীলন করত, চিত্ৰপট দর্শন করিতে করিতে তর্জনীর অগ্রভাগ দ্বারা আপনাকেই বুঝাইতে লাগিলেন যে, এই সম্মখে লোলার্কের নিকট সুরম্য অসিসঙ্গম দেখা যাইতেছে, আদিকেশবের পদতলে এই সরিৎশ্রেষ্ঠ বরণ দেখা যাইতেছে। ৯৫১০০ । স্বর্গেতেও দেবগণ, সর্বদা যে উত্তরবাহিনীর জলস্পর্শ অভিলাষ করিয়া থাকেন, এই সেই সুব্রতরঙ্গিণী উত্তরদিকে প্রবাহিত হইতেছেন। যে মোক্ষলক্ষী