পাতা:কাশী-খন্ড - নিবারণচন্দ্র দাস.pdf/৩২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ND byd কাশীখণ্ড । 5vtfe VN ভক্ষণ করে, সে প্ৰকারান্তরে সর্বপ্রকার মাংসই ভক্ষণ করিয়া থাকে ; সুতরাং সর্বদা মৎস্য ভক্ষণ ত্যাগ করিবে। ১২-১৩। কেবল দেবগণ ও পিতৃগণকে নিবেদন করিয়া পাঠান (বোয়াল মৎস্য) ও রোহিত মৎস্য ভক্ষণ করা যাইতে পারে। যাহারা মাংসাশী, তাহারা শশক, শল্লক, কচ্ছপ, গোধা এবং শিষ্টপরম্পরা ভক্ষ্য বলিয়া প্ৰচলিত মৃগ ও কপিঞ্জল পক্ষি প্ৰভৃতির মাংস ভক্ষণ করিবে । যাহার দীর্ঘজীবনকামনা এবং স্বৰ্গকামনা করিবে তাহারা যত্ব সহকারে মাংস পরিত্যাগ করিবে। ১৪-১৫ । যজ্ঞের জন্য যে পশুহিংসা করা যায়, তাহাতে কোন পাপ হয় না ; এতদ্ভিন্ন হিংসামাত্রেই পাপ হইয়া থাকে। পযুষিত ও একেবারে মেহবৰ্জিত মাংস ভোজন করিবে না। ১৬। প্ৰাণাত্যয়ে, যজ্ঞে, শ্রাদ্ধে, ভেষজে ও ব্ৰাহ্মণের ইচ্ছায় লোভী না হইয়া মাংস ভোজন করিলে দোষভাগী হইতে হয় না। যাহারা লোভ বশতঃ মাংস ভোজন করে, তাহদের যাদৃশ KK BBS DD DBBDD DLBDBB DBDD KK BD DStDSDH S BBB YY ব্ৰহ্মা, পশু, দ্রুম, মৃগ ও ওষধি সমূহকে স্বষ্টি করিয়াছেন, সুতরাং যজ্ঞেতে পশুবধ করিলে ব্ৰাহ্মণ হিংসাকারী হয় না এবং পশুরও সদগতি লাভ হইয়া থাকে। পিতৃকৰ্ম্ম, দেবকৰ্ম্ম, যজ্ঞ ও মধুপর্কের জন্য যে হিংসা, তাহা হিংসা বলিয়া পরিগণিত হয় না, কিন্তু এতদন্তিরিক্ত হিংসা করিলে তাঁহাতে পাপী হইতে হয়। ১৯-২০ । যে মুঢ় ব্যক্তি নিজদেহ পুষ্ট করিবার জন্য পশুহিংসা করে, সেই দুরাচারের ইহি ও পর্যুকালে কুত্ৰাপি সুখ হয় না। যে ব্যক্তি মাংস ভোজন করে, যে ব্যক্তি তাঁহাতে অনুমোদন করে, যে ব্যক্তি মাংস সংস্কার করে, যে ব্যক্তি ক্ৰয় করে, যে ব্যক্তি বিক্রয় করে, যে ব্যক্তি হিংসা করে, যে ব্যক্তি পশু আহরণ করে এবং যে ব্যক্তি হিংসা করায়, সেই আট জনই হিংসক বলিয়া পরিগণিত হইয়া থাকে। ২১-২২ ৷৷ যে ব্যক্তি শতবৎসর ব্যাপিয়া প্ৰত্যেক বর্ষে এক একটী অশ্বমেধ যজ্ঞ করে এবং যে ব্যক্তি মাংস ভক্ষণ করে না, এই উভয়ের মধ্যে শেষোক্ত ব্যক্তিই শ্ৰেষ্ঠরূপে পরিাগণিত হয়। সুখাভিলাষী ব্যক্তিগণ আপনাকে যে ভাবে দেখিবেন, পরকেও তঁহাদের সেই ভাবে দেখা উচিত ; কারণ আপনার সুখ ও দুঃখ যেরূপ, পরের সুখ দুঃখও ঠিক তন্ত্ররূপই হইয়া থাকে। ২৩-২৪। পরকে যে সমস্ত সুখ বা দুঃখ প্ৰদান করা যায়, পশ্চাৎ সেই আপনাকেই ভোগ করিতে হইয়া থাকে। ক্লেশ ব্যতিরেকে অর্থ উপাৰ্জন হয় না, অৰ্থ ব্যতিরেকে কোন সংক্রিয় করা যায় না, সৎকৰ্ম্ম ব্যতিরেকে ধৰ্ম্ম হয় না, ধৰ্ম্মহীন ব্যক্তির সুখের সম্ভাবনা কোথায় ? সকলেই সুখের ইচ্ছা করিয়া থাকে, সেই সুখ ধৰ্ম্ম হইতে প্ৰাপ্ত