পাতা:কাশী-খন্ড - নিবারণচন্দ্র দাস.pdf/৩৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুৰ্ণচন্ধারিংশ অধ্যায় ] যোগিণী প্ৰয়াণ । N96 è suasummar তাপ প্ৰদান করিতে লাগিল, হায় । আশ্রিত বিধুর এই ব্যবহার কি বিপরীত ।। ৯। যাহার গলদেশে সর্বদা অবস্থিত গরল অল্পমাত্রও তাপ প্ৰদানে সমর্থ হয় না। সেই নীলকণ্ঠ, কাশী বিরহে শিরঃস্থিত সুধাংশুর তুষারময় রশ্মির সম্পর্কে ও অত্যন্ত তাপ ভজনা করিতে লাগিলেন ; আহা ! কাশী বিরহের কি অনির্বচনীয়তা । ১০ ৷৷ সর্বদা শরীরস্থিত সৰ্পগণের বিস্তৃত ফণামণ্ডলের বিষময় নিঃশ্বাস সম্পর্কেও র্যাহার অনুমাত্ৰও ক্লেশ উৎপন্ন হয় না। সেই অনির্বাচ্যবিভব দেবদেব মহেশ্বর কাশী বিরহকালে তাপ শান্তির নিমিত্ত হৃদয় নিহিত সাদ্রীকৃত হরিচন্দনপঙ্কসম্পর্কেও সন্তাপ অনুভব করিতে লাগিলেন। ১১ । সংসারে যত প্ৰকার ভ্ৰম আছে ; যাহার কৃপা কটাক্ষে সেই সকল প্ৰকার ভ্ৰম বিলয় প্ৰাপ্ত হয়, আশ্চৰ্য্যের বিষয় তৎকালে সেই মহাদেবও বিরহ তাপ শান্তির নিমিত্ত পরিষ্কৃত কোমলপুষ্পমালাতে সর্পভ্ৰম করিতে লাগিলেন । ১২ । যাহার স্মরণ মাত্ৰেই জীবগণের ত্ৰিবিধ তাপ ক্ষয় হয়, সেই জগদীশ্বর ও কাশীবিরহে সন্তপ্তহৃদয়ে একাকী নির্জন স্থানে বসিয়া প্ৰলাপীর ন্যায় অস্ফুট এই সকল বাক্য উচ্চারণ করিতেন যে “হায়! আমার এই গভীর সন্তাপ কাশী হইতে সমাগত বায়ু কখন শান্ত করিবে, কারণ ইহায্যে হিমরাশির মধ্যেও অবগাহন করিলে শান্ত হইবার নহে। দক্ষালয়ে দীক্ষায়নীর দেহ ত্যাগ নিবন্ধন আমার যে তীব্ৰতাপ উৎপন্ন হইয়াছিল, জীবনের সঞ্জীবনৌষধিরূপ হিমাদ্ৰি তনয়৷ যদি জন্মগ্রহণ না করিতেন তাহা হইলে ঐ তাপ কোন প্রকারেই শান্ত হইত না ; কিন্তু দাক্ষায়নী শরীর ত্যাগ করিলেও আমার হৃদয় এতাদৃশ দুঃখিত হয় নাই, যে প্রকার অবিমুক্তক্ষেত্র বিরহ জন্য মহাসন্তাপে ইহা তীব্ৰতর ব্যথিত হইয়াছে। অয়ি ! কাশী । আমার এমন দিন কখন উপস্থিত হইবে ; যে দিন আমি তোমার অঙ্গসঙ্গমজনিত সুখসমুদ্রে নিমগ্ন হইয়া এই তীব্ৰ সন্তাপে দগ্ধ প্ৰায় স্বীয় অঙ্গনিচয়কে শীতল করিতে পারিব ? হে জীবগণের নিখিলপাপবিনাশকারিণি। হে কাশী ! তোমার বিরহজাত অগ্নি, চন্দ্ৰকলা হইতে উৎপন্ন অমৃত কিরণেও প্ৰতি নিয়ত ঘূতসম্পর্কে বৰ্দ্ধমান বহ্নির ন্যায় বৃদ্ধি প্ৰাপ্ত হইতেছে, ইহা বড়ই বিস্ময়জনক। পূর্বে দীক্ষায়নীর বিরহজাত তীব্ৰ সন্তাপ হিমাদ্রিতনয়ারূপ সঞ্জীবনৌষধ লাভে বিলয় প্রাপ্ত হইয়াছিল, কিন্তু এই কাশী বিরহজাত সন্তাপ সত্বর কাশীদর্শন ভিন্ন অন্য কোন উপায়েই শান্ত হইবার নহে”। ১৩-১৯। বিবুধগণসন্নিধানে কোন প্রকারে কাশী বিরহ সন্তাপ গোপন করিয়া, নির্জন স্থান আশ্ৰয় পূর্বক মহেশ্বর মনে মনে যখন এই সকল বিষয়ের আন্দোলন করিতে লাগিলেন ; সেই সময় এই সকল অন্যের অবিদিত হইলেও নিখিল জনের সাক্ষিণ