পাতা:কাহাকে?.djvu/১০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সপ্তদশ পরিচ্ছেদ।
১০৩

সপ্তদশ পরিচ্ছেদ।


 বাড়ী পা দিব্যমাত্র জ্যেঠাইমার আমার প্রতি স্বাগত সন্তাষণ—“ওমা কি হবে গো। মেয়ে যে পেল্লায় বড় হয়ে উঠেছে! আর এখনো আয়বড়! লোকে দেখলে বলবে কি! ছিছি ঠাকুর পো তোমার মুখে অন্নজল রোচে কি করে গা!”

 বাবা ব্যস্তসমস্ত পলায়নপর হইয়। বলিলেন—“শীগগিরই হবে—শীগগিরই হবে; সবই এক রকম ঠিক—সেজন্য তোমার কোন ভাবনা নেই।”—

 সব ভাল করিয়া শোনা গেল কি না গেল, তিনি কোন রকমে কথা গুলো মুখের বাহির করিয়া চলিয়া গেলেন।—

 জ্যেঠাইমা ইহাতে আরো অসন্তুষ্ট হইয়া আপন মনে গণগণ করিতে লাগিলেন—“না আমার কোন ভাবনা নেই—তোমারি যত ভাবনা? এই যে পাঁচজন মেয়ে ছেলে এখনি এখানে আসবে, মণিকে দেখে নানা কথা বলবে তুমিত আর শুনতে আসবে না; আমারি লজ্জায় বাকরোধ হবে।”

 জ্যেঠাইমার ভয় দেখিলাম নিতান্ত অকারণ নহে। সত্য সত্যই আমি আসিয়াছি শুনিয়া আমাদের যত কেহ আত্মীয় স্বজন, পাড়া প্রতিবাসী মহিলাগণ পালায় পালায় প্রতিদিন দল বাঁধিয়া আমাকে দেখিতে আসেন; আসিয়া,আশ্চর্য! প্রতি জনে ঠিক একই রকম ভাষায়, পাখীর শেখা বুলির মত আমার অকাল কৌমার্য্যে বিস্ময় ও দুঃখ প্রকাশ করিয়া অবশেষে বাবার মুঢ়তার নিন্দাবাদে প্রচুর পরিতৃপ্তি সঙ্গে লইয়া গৃহে ফেরেন। এমন কি এইরূপ সমবেত জল্পনায় জ্যেঠাইমার যথার্থ দুঃখের তীব্রতা ও ক্রমশঃ হ্রাস হইতে