ছেলে বেলা থেকে তাকে ভালবাসি, বন্ধু মনে করি, তার স্মৃতি চিরদিন আমার মনে সুখ জাগায়। সে যে আমার কষ্ট্রের কারণ হবে আমি কিছুতেই মনে করতে পারিনে।”
“ছোটু! ছোটুর সঙ্গে বিবাহের কথা? নিশ্চয়ই—তার যদি একটুও মনুষ্যত্ব থাকে অবশ্যই সে সহায় হবে।”
অতিরিক্ত আশানন্দে তিনি নিতান্ত যেন অপ্রকৃতিস্থ হইয়া এইরূপ বলিলেন। আমি বলিলাম—“তাকে চেনেন কি?”
তিনি সে কথার উত্তর করিলেন না; বোধ হইল যেন তাহা শুনিতে পাইলেন না। নিজের ভাবে ভোর হইয়াই বলিলেন— “কেমন যেন সমস্ত মায়ার খেলা মনে হচ্ছে! আপনি তাহলে তাকে বলবেন। আমি এখন যাই, তার সঙ্গে কথা কয়ে কি ফল হয় যেন শুনতে পাই। হয়ত নিজেই আসব; যদি আবার কালই আসি কিছু মনে করবেন না; আপনার বাবার সঙ্গে এখনো দেখা হয়নি।”
বলিয়া কেমন যেন অতি সহসা তিনি চলিয়া গেলেন, আমাকে একটি কথা কহিবার পর্য্যস্ত আর সময় দিলেন না।
বিংশ পরিচ্ছেদ।
মহা আনন্দ। বাবা সম্মত। কিন্তু ডাক্তার ত আর সে পর্য্যন্ত আসেন নাই তাঁহাকে এ সুখবরটা কিরূপে জানাই? চন্দ্রময়ী নিশা! আমি উদ্যানে বসিয়া উদ্বিগ্নচিত্তে রাস্তার দিকে চাহিয়া আছি—মনে হইল যেন তিনি যাইতেছেন। উঠিয়া দ্রুতগতিতে