গানটি এইখানে শেষ হইল, তিনি থামিলেন, কিন্তু মনে হইল এখনো যেন অসম্পূর্ণ, অসমাপ্ত রহিয়া গেল, কি যেন আরো বলার ছিল, বলা হইল না; শুনিয়া মুগ্ধ হইলাম, অথচ পরিতৃপ্ত হইলাম না। কিন্তু গান শেষ হইলে নিকটে আসিয়া তিনি যখন বলিলেন-"I wish I was a painter to paint you like this” তখন পূর্বের মত আমার বিরক্ত বোধ হইল না— মনে হইল তিনি যেন আর আমার অপরিচিত নহেন। সে সময় স্বপ্নের মূর্ত্তিতে তাঁহার মূর্ত্তিতে মিশ্রিত হইয়া আমি সে দেখিতে ছিলাম তাঁহাকে বা কাহাকে?
তৃতীয় পরিচ্ছেদ।
মেশ মেরাইজ করিলে কিরূপ অবস্থা হয় তাহা আমি বেশ বুঝিতে পারি। আমি যেন সেই রূপ মন্ত্রপূত হইয়া পড়িতাম। তিনি যখন আমাদের বাড়ী আদিতেন, তাঁহাকে যখন প্রথম দেখিতাম, তখন আমার বেশ সহজ অবস্থা, অন্তত একজন সাধারণ আলাপীর সহিত দেখা শুনা কথাবার্ত্তায় যতটুকু আনন্দ, তাঁহার সহিত দেখা সাক্ষাতেও তদপেক্ষা অধিক কিছুই নহে। কিন্তু গানটি গাহিলেই সমস্ত বিপর্য্যয় হইয়া পড়িত; অল্প সময়ে এমন কতবার পণ করিয়াছি—সে গান আর শোনা হইবে না, তাঁহাকে আর গাহিতে বলিব না, কিন্তু সময় কালে সে সঙ্কল্প কিছুতেই বাঁধিয়া রাখিতে পারিতাম না, শুষ্ক পত্রের মত যেন