না, একদিন তিনি স্পষ্ট করিয়া তাঁহার মনের ভাব ব্যক্ত করিলেন। সেই প্রার্থিত প্রত্যাশিত দিন আসিল-কিন্তু?
বিকাল বেলা বাগানে ফুল তুলিতেছিলাম। বৃষ্টির পর চারিদিক সুন্দর সুদৃপ্ত নবীন হইয়া উঠিয়াছে, আকাশের লাল আলো তরল মেঘের উপর, গাছপাতা ফুলের কোমলতার উপর অতি মধুর উজ্জ্বলতা বিস্তার করিয়াছে। আমি একটি গোলাপ বোঁটাশুদ্ধ ছিঁড়িতে চেষ্টা করিয়াও ছিঁড়িতে পারিতেছিলাম না, সহসা হাত বোটাতেই রহিয়া গেল, কম্পাউণ্ডে গাড়ী জুড়ি প্রবেশ করিতে দেখিয়া তাহাতেই নয়ন আকৃষ্ট, আবদ্ধ হইয়া পড়িল। তিনি গাড়ী হইতে নামিয়া আমাকে বাগানে দেখিয়া নিকটে আসিলেন, গোলাপটি ছিঁড়িয়া দিয়া বলিলেন,”কাহার জন্য ফুল তুলিতেছেন!” আমিও ফুল তুলিতে তুলিতে ভাবিতেছিলাম,—তখন ছোটুকে কেমন অসঙ্কোচে ফুল দিতাম, আর ইহাকে দিতে ইচ্ছা করিলেও কেন পারি না”! তাকহার জিজ্ঞাসায় উত্তর করিলাম— “দিদির জন্য।”
একটি সুদীর্ঘ দীর্ঘনিশ্বাস শুনিতে পাইলাম। আর একটি সুন্দর গোলাপ ছিঁড়িয়া তিনি আমার হাতে দিতে দিতে আস্তে আস্তে আওড়াইলেন—
“A lamp is lit in woman's eye
That souls, else lost on earth, remember angels by.”
তখন আমি লজ্জিতভাবে বলিলাম—“ঘরে চলুন,”। তিনি বলিলেন—“চলুন না, আপনি গেলেই যাই, মনে আছে আজ আপনি আগে যাবেন বলেছেন?”
আমরা উপরে উঠিলাম, তখনো ভগিনীপতি বাড়ী ফেরেন