সজ্ঞান দেখিয়া ডাক্তার বলিয়া উঠিলেন—“Thank God, the danger is past, she is all right now.”
দিদি আমার পাশেই বসিয়াছিলেন; তিনি এক চামচ ঔষধ আমার মুখের কাছে ধরিয়া স্নেহকণ্ঠে বলিলেন—“মণি এইটুকু থেয়ে ফেল।”
আমি বলিলাম “আমার হয়েছে কি-ওষুধ খাব কেন?”
ভগিনীপতি বলিলেন—“না কিছুই হয়নি—ওষুধ না—সরবৎ দেওয়া যাচ্ছে—খেয়ে ফেল দেখি,—I say Doctor—রমানাথ একবার এখন দেখতে আসতে চায়; আসতে পারে কি?”
ডাক্তার বলিলেন—“এখনো বোধ হয় কিছুক্ষণ disturb না করাই ভাল,—If she gets a little sound sleep her nervous system will recover its natural tone, এখন আমরা ও যাই—আমারো আর এখানে থাকার আবশ্যক দেখিনে। আপনার স্ত্রী উঁহাকে এখন ঘুম পাড়াবার চেষ্টা করুন। যদি বলেন, কাল আমি বরঞ্চ একবার এঁকে দেখতে আসব— আসতে পারি কি?”
ভগিনীপতি বলিলেন—“নিশ্চয়ই। আজ আপনি না থাকলে কি বিপদেই পড়তে হোত—I don't know how to thank—”
আর শুনিতে পাইলাম না, তাঁহারা চলিয়া গেলেন।—এতক্ষণ যেন কি একটা অজ্ঞাত জলস্ত লৌহভার আমার হৃদয়ে রুদ্ধ হইয়া ছিল, সহসা অশ্রুশ্রোতে গলিয়া বাহির হইয়া উঠিল, আমি দুইহাতে দিদির কটিদেশ বেষ্টন করিয়া—তাঁহার কোলে মাথ। রাখিয়া কাঁদিয়া কাঁদিয়া বলিলাম—“দিদি আমি কি পাগল হ’য়ে