দিদি বলিলেন “আমার ভিতরকার কথাটা কি জানিস, আমি অন্তর থেকে তাকে এতে দোষী বলে বিশ্বাস করতে পারছিনে। বিলাতের মেয়েদের কুহক ত প্রসিদ্ধ কথা,আমার মনে হচ্ছে নেহাৎ কোনরূপ একটা পাকে চক্রে পড়ে বেচারার এমনতর বিভ্রাট ঘটেছিল। তাকে জিজ্ঞাসা করলেই এর এমন একটা সদুত্তর পাওয়া যাবে যে তখন সে মেয়ের চেয়ে তার উপরেই বেশী মায়া করবে।”
আমি। তুমি বুঝি ভেবেছ এসব কথা আমি তার কাছে তুলতে যাব?
দিদি। তোর তুলতে হবে না সে নিজেই তুলবে সেজন্য ভাবনা নেই, না হয় আমরা জিজ্ঞাসা করব। কিন্তু যার সঙ্গে বিয়ে স্থির হয়ে গেছে—তার সঙ্গে বুঝি আর এ কথা তোলা যায় না?”
আমি। বিয়ে স্থির এখনো হয়নি, আমার মোটেই ইচ্ছা নেই।
দিদি বিস্ময়ে রাগে বলিলেন “তুই ক্ষেপেছিস নাকি, এই সামান্য কারণে বিয়ে বন্ধ হবে! ওকথা মনেও আনিস্নে, তাহলে সমাজে কি কলঙ্কের সীমা থাকবে; সে পুরুষমানুষ তার কি, তোর সঙ্গে না হলে এখনি অন্য আর একজন সেধে মেয়ে দেবে, আর তোর নামে এ থেকে এত কথা উঠবে যে পরে বিয়ে হওয়াই ভার হবে।
আমি। নাইবা বিয়ে হল, আমি ত সে জন্য কিছুমাত্র ব্যস্ত নই।
দিদি। তা ছাড়া এটাও ভেবে দেখ তুই যে এমন কোরে নিজের চিরজীবনের সর্ব্বনাশ করতে চাচ্ছিস সেকি কোন একটা