জীবন্ত অনুরাগ, আপনার খেলা তার মৃত্যু, এরূপস্থলে বিবাহই আপনার উচিত কার্য্য।”
“তুমি কি মনে কর—দৈবাৎ একটা অন্যায় করেছি বলেই সেই অন্যায়কে চিরস্থায়ী করা কর্ত্তব্য?—আমি যদি তাকে বিবাহ করি, কেবল আমার কষ্ট নয়—আমার ভাই, বোন, পিতামাতা, আত্মীয় স্বজনের চিরকষ্ট, দেশের সহিত অজন্ম বিচ্ছেদ; এবং এই সমস্ত দুঃখ কষ্ট বহন করব যার জন্য তারো চিরকষ্ট, কেননা তার প্রতি আমার এমন ভালবাসা নেই যাতে তাকে সুখী করতে পারি। এ অবস্থায় তুমি কি আমাকে বিবাহের পরামর্শ দিতে?”
কথাটা ঠিক বলিরা মনে হইল, বলিলাম—“কিন্তু তবে সে কেন এখনো বিবাহের প্রত্যাশা করে?—অন্ততঃ তাকে পরিষ্কার করে মনের ভাব জানিয়ে মুক্তি লওয়া উচিত ছিল।”
“আমি ত মনে করেছিলুম যথেষ্ট স্পষ্ট করে মনের ভাব জানতে দেওয়া হয়েছে, তবে এখনো যদি ভুলভ্রান্তি থাকে আমাদের বিবাহের খবর পেলেই তা ভেঙ্গে যাবে।”
কথাটা বড় খারাপ লাগিল, বাস্তবিক সে যদি ইঁহাকে ভালবালে—আর বিবাহের আশা করে তাহা হইলে এই খবরে তাহার কিরূপ হৃদয়দাহ হইবে। তাহার ভালবাসা আমার আগে, তাহার অধিকার আমার আগে, আমি কোন্ প্রাণে তাহার এরূপ যন্ত্রণার কারণ হইব—! আমি উত্তেজিত স্বরে বলিলাম “আপনি ন্যায় অন্যায় কি করেছেন জানি নে, তার বিচারক ভগবান আমরা নই, তবে যে রমণী আপনাকে এতদূর ভালবাসে তাহার সুখের পথে আমি কাঁটা হব না, এ নিশ্চয় জানবেন।”