পড়িয়াছিল; ইতিমধ্যে তিনি জানালা বন্ধ করিয়া দিয়া আমার নিকটে একখানি চৌকিতে আসিয়া বসিলেন, বসিয়া আমার হাত দেখিয়া বলিলেন “না! এখনো বেশ সবল বোধ হচ্ছে না—টনিকটা বন্ধ করবেন না।”
আমি বলিলাম “না অমন বিশ্রী ওষুধ আমি আর খাব না।”
ভগিনীপতি কোথা হইতে আসিয়া বলিলেন—“কার সঙ্গে অভিমান আবদার হচ্ছে? ডাক্তারের সঙ্গে না ওষুধের সঙ্গে।”
আমি লজ্জিত হইলাম, তাই ক্রুদ্ধস্বরে বলিলাম—“এ বুঝি আবদার হোল? একবার ওষুধটা খাও দেখি?”
ভগিনীপতি বলিলেন “তাতে যদি তোমাদের আবদার কিছু কমে তাহলে একশিশি কেন, যত শিশি বল খাচ্ছি। I say Doctor এমন পজিটিভ প্রমাণ থাকতে মেয়ে পুরুষের intellectual superiority সম্বন্ধে এখনো এত বাকবিতণ্ডা চলে কেন তাত বুঝতে পারিনে!”
দিদি বলিলেন—“পজিটিভ প্রমাণটা কি, আর কোন্ পক্ষে শুনি?
ভগিনীপতি বলিলেন—“মেয়েরা যদি আর কারো সঙ্গে অভিমান করতে না পায় তখন ভাগ্যের সঙ্গেই অভিমান করতে বসে। তাদের দৃঢ় বিশ্বাস-অটল অচল অদৃষ্টকেও তারা চখের তাপে গলিয়ে একেবারে জল করে ফেলবে।”
দিদি বললেন “অদৃষ্টযদি এমনই অটল অচল হয় তাহলে তার সঙ্গে যারা লড়াই করতে যায় তারাই বা কি মহাবুদ্ধিমান?
ডাক্তার বলিলেন—“বেশ বলেছেন, আমি সম্পূর্ণভাবে আপনার সঙ্গে একমত!”