এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৬
কাহাকে?

 ভগিনীপতি বলিলেন—“তুমি শুদ্ধ দলে মিশলে—তবে দেখছি আর এখান পোষাল না আমার, আমি চল্লুম-নীচে মক্কেল এসে বসে আছে। যাবার সময় দেখা করে যেও হে।” ভগিনীপতি চলিয়া গেলেন, ডাক্তার বলিলেন—“আচ্ছা ও ওষুধটা যদি আপনি খেতে না পারেন একটা সুস্বাদু টনিক লিখে দিচ্ছি।”

 এই সরল সহানুভূতি আমার বড় ভাল লাগিল, আমি আনন্দ দৃষ্টিতে তাঁহার দিকে চাহিলাম।

 এস্থলে সম্পূর্ণ প্রাসঙ্গিক না হইলেও একটি কথা বলিতে ইচ্ছা হইতেছে। যাঁহারা স্ত্রীলোকের আবদার সহ্য করিতে না পারিয়া খড়্গহস্তে তাহার দমন করিয়া থাকেন, মুহূর্ত্তের জন্য যদি কেবল তাঁহারা দিব্যহৃদয় লাভ করিয়া অনুভব করিতে পারেন, সামান্য নির্দ্দোষ ছোটখাট অভিমানগুলির সম্মান রক্ষায় অতি সহজে তাঁহারা নিজের এবং পরের কিরূপ অপরিমিত গভীর সুখের কারণ হইতে পারিতেন, কেবল একটুখানি সহাহুভূতির অভাবে এই সুখের স্থলে কত অসুখ বৃদ্ধি করিতেছেন; কত কোমল হৃদয় নিষ্পেষিত কঠোর করিয়া তুলিতেছেন—তাহা হইলে জানিনা তাঁহাদের সুখ বাড়িত কিম্বা দুঃখ বাড়িত, তবে সংসারের রূপ এবং স্ত্রীলোকের ভাগ্য যে অনেকটা পরিবর্ত্তিত হইত তাহাতে সন্দেহ নাই।

 গৃহের এককোণে টেবিলে লিখিবার সরঞ্জাম ছিল—ডাক্তার নূতন একটি প্রেস্‌ক্রিপসন লিখিয়া দিদির হাতে দিয়া বলিলেন, “আর বোধ হয় আমার আসার অবশ্যক নেই।”

 দিদি বলিলেন—“এখন ত ভালই আছে আর অসুখ না