এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সপ্তম পরিচ্ছেদ
৪৯

অটল অচল, আমি যাহাই হই তিনি দেবতা, তাঁহার প্রেমে তিনি পতিত-আমাকে উদ্ধার করিবেন।

 দিদি যখন সহসা জিজ্ঞাসা করিলেন—“তাঁর সঙ্গে কি কথা হোল?” তখন বিবাহ করিতে আমি দৃঢ় সঙ্কল্প। আমি বলিলাম “বুঝেছি, তাঁকে বিয়ে না করে কোন দোষ করেন নি।”

 “তোকে যে খুব ভাল বাসে তাও বুঝেছিস?”

 “বুঝেছি।”

 “এখন বিয়েতে আপত্তি আছে কি?”

 বুলিলাম “না”।

 দিদি ভারী খুশী হইয়া বলিলেন, “একহপ্তা পরে সে আসবে—না”?

সপ্তম পরিচ্ছেদ।


 ময়মনসিং হইতে একখানি পত্র পাইলাম। চিঠিখালি একান্তই প্রীতি মিনতিপূর্ণ। পড়িয়া যেমন আর্দ্র হইলাম তেমনি আত্মগ্লানি অনুভব করিতে লাগিলাম। বলা বাহুল্য এখানি ইংরাজি পত্র; ইঙ্গবঙ্গ যুবা-যাঁহার জীবনই ইংরাজি অনুকরণ, তাঁহার প্রণয় পত্র যে মাতৃভাষায় লিখিত হইবে-বোধ করি আমি খুলিয়া না বলিলেও, এমন আজগুবি ভুল কেহ করিতেন না।

 আমি অবশ্য ইংরাজিতেই উত্তর লিখিতে বসিলাম।—ইঙ্গবঙ্গ সমাজের সুশিক্ষিতনামা কোন বঙ্গবালা হইতে যে আমার