এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সপ্তম পরিচ্ছেদ।
৫৩

কথাটা কোন রকমে এড়াইয়া অন্য কথা পাড়িবার অভিপ্রয়ে বলিলাম—“গান টান কাল কেমন হোল?”

 দিদি বলিলেন—“গাইয়ে লোক কাল তেমন কেউ ছিল না। কুসুমরা সব এখনো ময়মনসিংয়ে-গান জমে কি করে বল? চঞ্চল একবার টিম টিম করে গাইলে, আমিও গেয়েছিলুম; কিন্তু মনটা কেমন খারাপ হয়ে গিয়েছিল—মোটেই ভাল করে গাইতে পারলুম না”—

 “ডিনার পার্টিতে গিয়ে মন আবার খারাপ হোল কেন?”

 “কি গুজব উঠেছে জানিস,—তোর সঙ্গে রমানাথের বিয়ে ভেঙ্গে গেছে, কুসুমের সঙ্গে তার বিয়ে। ময়মনসিংয়ে নাকি তাদের বাড়ীতেই সে ছিল।”

 “সেই জন্যেই আর কি গুজবটা উঠেছে। লোকদের ত খেয়ে দেয়ে কাজ নাই, পরচর্চ্চার একটা সুযোগ পেলে হয়। ত্রেতা যুগে বাল্মীকি রাম না হতে রামায়ণ সৃষ্টি করেছিলেন— এ যুগে সে ক্ষমতাটুকু ত কারো নেই,—তাই অহৰ্নিশি তার চেষ্টাটাই চলেছে। একটা গুজব শুনে তুমি অত মুষড়ে গেলে কেন?”

 “কথাটা নিতান্ত গুজব বলে মনে হচ্ছে না,—চঞ্চলের মার কাছে সব শুনলুম। তারা নাকি মেয়েকে ৫ হাজার টাকা যৌতুক দেবে।”

 চঞ্চলের মা কুসুমের কাকিমা। যাতৃ দুইজনের মধ্যে প্রীতি সদ্ভাব কিছুমাত্র নাই,—আত্মীরতা স্থলে কলহ বিবাদ হইলে যাহা ঘটয়া থাকে, কাহারো গুণ কেহ দেখিতে পান না, তিল দোষ পাইলে তাল করিয়া তুলিয়া তাহার সমালোচনায় উভয়েই