এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬০
কাহাকে?

নবম পরিচ্ছেদ।

 দিদি সব শুনিয়া আমার উপরই অসন্তুষ্ট হইলেন,—আমাকেই দোষ দিতে লাগিলেন। তিনি বলিলেন,—“এখন বোঝা যাচ্ছে কুসুমের সঙ্গে তার বিয়ের গুজব উঠেছে কেন, তোরই দোষে দেখছি তা ঘটেছে। আমি কি করে জানব—ভিতরে ভিতরে এত কাণ্ড হয়েছে; আমি ভাবছি-ভালয় ভালয় সব গোলযোগ মিটে গেল-বাঁচা গেল। মিটমাট যে শুধু তোর মনে মনে তাত আর বুঝিনি তখন; সে বেচারাই বা কি ক’রে তা বুঝবে বল? প্রথমে ত তাকে স্পষ্ট করে বলে দিলি বিয়ে করবিনে; তার পরে সে তার জীবন মরণ মিনতি জানালে যখন, তখনও একটি কথা কইলিনে, মফঃস্বলে গিয়েও সাধ্যসাধনা করে চিঠি লিখলে, চিঠির এক লাইন উত্তর পর্য্যন্ত দিলিনে, এতে মানুষ কি ভাবে বল দেখি? তার ত মানুষের প্রাণ-না সে পাথর? এত উপেক্ষার পর তবুও যে সে আবার এ বাড়ীতে এসে তোর সঙ্গে দেখা করে, বিয়ে সম্বন্ধে মতামত জিজ্ঞাসা করেছে,—এতে আমি ত তাকে খুবই ভাল বলি, তার ভদ্রতা সৌজন্যের পরিচয় এতে খুবই পাওয়া যাচ্ছে।”

 আমি বলিলাম, “তা হতে পারে—কিন্তু যে রক্‌ম করে সে মত জিজ্ঞাসা করেছেন তাতে ভালবাসার পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে কি?”