এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নবম পরিচ্ছেদ।
৬১

 “ভালবাসার অভাব আমি ত এতে কিছুই দেখছিনে। হাজার ভালবাসলেও যদি জানা যায় সে আমাকে চায় না—তাহলে যার একটু আত্মসম্মান জ্ঞান আছে—সে কি আর প্রেমের দোহাই দিয়ে কথা কইতে পারে?”

 “কিন্তু তিনি যখন বল্লেন—এ বিয়ে না হলে আপনার কিরূপ ক্ষতি তাই বিবেচনা ক’রেই বিয়ে করা না করা স্থির করুন,—আমি ভালবাসি—বা না বিয়ে হলে আমার কষ্ট হবে—এরূপ ভাববেন না;—তখন কি আমি বলব নাকি—হ্যাঁ আপনি ভাল বাসুন বা না বাসুন তাতে কিছু আসে যায় না, আমার মঙ্গলের জন্যই আমি বিয়ে করতে প্রস্তুত। তাঁরই আত্মসম্মান জ্ঞান আছে—আর আমার কিছুমাত্র নেই!"

 “তুইই তার প্রতি অন্যায় করেছিস, তার মনে আঘাত দিয়েছিস; সে জন্য তুই যদি নিজের ভুল, নিজের দোষ স্বীকার ক’রে তার কষ্ট দূর করতে যেতিস—তাহলে তাতে কি ক’রে যে তোর আত্মসম্মানের হানি হোত তাত আমি বুঝতে পারিনে। তবে সত্যি যদি এড়াবার অভিপ্রায়েই সে তোকে অমন ক’রে বলে থাকে, তাহলেও তাকে সে কথা স্পষ্ট করে বলবার অবসর দেওয়া উচিত ছিল। এখন দাঁড়াচ্ছে এই,—তোর ইচ্ছা নেই ব’লেই বিয়েটা ভাঙ্গতে সে বাধ্য হোল; দোযটা সমস্ত এক তরফেরই।”

 আমার দিকটি দিদির কিছুতে চোখে পড়িল না। তিনি কেবল দেখিতে লাগিলেন,—আমিই তাঁহাকে অন্যায়রূপে উপেক্ষা করিয়া, অকারণে আমার নিজেরই সুখসৌভাগ্য বিসর্জ্জন দিতে বসিয়াছি! সুপাত্রে ন্যস্ত হওয়াই কন্যাজীবনের চরম সৌভাগ্য,—