পরম সার্থকতা। গুণবান স্বামীর সোহাগে যে সোহাগিনী— তাহার নিকট অন্য আকাঙ্ক্ষনীয় প্রার্থনীয় বিষয় আর কি আছে? স্বামীর সোহাগের ঘরে শত দুঃখও দুঃখের নহে—আর ইহার অভাবে তাহার জীবন জন্ম নিতান্তই দুঃখময় নিরর্থক বলিয়া অনুভূত। দিদি তাঁহার এই স্ত্রীস্বভাবসুলভ দৃষ্টি দিয়া এখন কেবল এক পক্ষই দেখিতেছেন,—তিনি আমার কিরূপ উপযুক্ত পাত্র, তিনি আমাকে কিরূপ ভাল বাসেন, তাঁহাকে বিবাহ করিলে আমি কিরূপ রূপবান গুণবান স্বামীর প্রেমে সুখী হইতে পারিতাম আর আমার মিথ্যা ছেলেমানষি সেণ্টিমেণ্টের চাপল্যে তাঁহাকে এবং তাঁহার সেই অমূল্য প্রেমকে উপেক্ষা করিয়া ভবিষ্যৎ জীবনের কিরূপ ঈর্ষণীয় অবসর হারাইতেছি! এ অবস্থায় আমার মনোভাবের গাম্ভীর্য্য কি করিয়। তাঁহার দৃষ্টিতে প্রকাশ করি,—কি করিয়া দিদিকে বোঝাই— তাঁহার ও রূপ করিয়া বলার পর আমার আর ভুলস্বীকারের পথ ছিল না, তখন দোষ স্বীকার করিলে আমার হীনতাই প্রকাশ পাইত। দিদির স্নেহ হইতেই যদিও এই কঠোরতার এই নির্ম্মমতার জন্ম,–কিন্তু আমি কি তখন সেই স্নেহ সেই মমতা উপলব্ধি করিয়াছিলাম,—না তাহা করিলেও তাহাতে আমার ব্যথা লাগিত না? দিদির এই সহানুভূতিহীন দোষারোপে আমার প্রকাশের শক্তি পর্য্যন্ত কমিয়া আসিতে লাগিল, অশ্রুজলে অবরুদ্ধ হইয়া ক্রমশঃই ভাষার শক্তি ভাষার স্বর ক্ষীণতর হইয়া পড়িতে লাগিল।
আমাদের দুজনের বাক্বিতণ্ডা শেষ না হইতে হইতে ভগিনীপতি আসিয়া বিষ্ময়ক্রুদ্ধ স্বরে বলিলেন-“কুমু! What is